কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে যে সকল শিক্ষার্থী নিজেকে রাজাকার দাবি করে স্লোগান দিয়েছেন তাদের ক্লাসে পাঠদান করাবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মশিউর রহমান।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) তিনি তার এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে ঘোষণা দেন ‘যে শিক্ষার্থীরা নিজেকে রাজাকার দাবি করে স্লোগান দেয় সেই শিক্ষার্থীদের আমি ক্লাসে পাঠদান করবো না’।
এদিকে এই পোস্ট শেয়ার এবং বিভিন্ন মন্তব্য করছেন শিক্ষার্থীরা।
মিজানুর রহমান নামের এক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেন, চেতনা বিক্রি করা শিক্ষক নামে কলঙ্ক!! অথবা Irony কি, এটা না বুঝেই শিক্ষক হইছেন! আপনার মতো শিক্ষকের কাছে ছাত্ররা কী শিখতে পারবে, সেটা জাতি বুঝে গেছে!
আরসেল আজিম সিদ্দিক নামের এক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেন, যাক আপনি জাতির শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। আপনার থেকে জাতির বীর শিক্ষকদের অনেক কিছু শেখার আছে। গর্ব হচ্ছে আপনি যাদের জ্ঞানদান করেন তাদের জন্য।
সাগর শেখ নামের এক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেন, তাদের মতিভ্রম হয়েছে, তাদের ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন।
শেখ সালমান নামের এক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেন, আপনার কাছ থেকে কোনো শিক্ষার্থী শিক্ষাগ্রহণের কিছু নেই।
প্রসঙ্গত, চীন ফেরত পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্রিক এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? তাদের নাতি-নাতনিরা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতি-নাতনিরা পাবে?
এরপর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্যাম্পাস থেকে স্লোগান দিতে থাকেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং হলগুলো থেকে মিছিল করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও মিছিল বের হয়।
এ সময় মিছিল থেকে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের, এর মধ্যে ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’, ‘কীসের তোমার অধিকার, তুমি একটা রাজাকার’, ‘কে বলেছে কে বলেছে সরকার সরকার’। এরপর থেকে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে দফায় দফায় ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে।