কুড়িগ্রামের রাজারহাটের বিদ্যানন্দ ইউনিয়নে তিস্তা নদীর ভাঙন রোধে নির্মিত বুড়িরহাট ও গাবুর হেলান ক্রস বাঁধটি তিস্তার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় হুমকির মুখে রয়েছে বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বর্তমানে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বিলীন হয়ে যাওয়া অংশে জিও ব্যাগ ও বালুর বস্তা ফেলে নদীর গতিপথ ঠিক রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ।
স্থানীয়রা জানান, ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে ৩৫০ মিটার দীর্ঘ ক্রস বাঁধটি তিস্তার ভাঙন রোধে নির্মাণ করা হয়। গত ৮ দিন ধরে এখানে ভাঙন চলছে। ভাঙন রোধ করা না গেলে গাবুরহেলান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোলাগাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তৈয়বখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঘব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়হর বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে চলে যাবে জানান স্থানীয়রা।
গত মঙ্গলবার দুপুরে ভাঙ্গন কবলিত এলাকাসমূহে কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ ও রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে তাসনিম পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, তিস্তার তীব্র স্রোতে বুড়িরহাট ক্রস বাঁধের একাংশ ধসে যাওয়ার খবর পেয়ে আমরা পুরোদমে ধসে যাওয়া অংশে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছিলাম। কিন্তু প্রবল স্রোতে সেটি বিলীন হয়ে গেছে। পাশাপাশি বিদ্যানন্দ ইউপির কালির মেলা এলাকায় ভাঙ্গন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে তাসনিম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ভাঙ্গন কবলিত এলাকাসমূহ পরিদর্শন করেছি এবং নদীগর্ভে বিলীন হওয়া পরিবারগুলোর মাঝে ত্রাণ সামগ্রী ও শুকনো খাবার পৌঁছানোর জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এলাকাবাসীরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে, ভাঙন কবলিত এলাকা রক্ষার জন্য এই এলাকায় নদী খনন ও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান।