সাতক্ষীরার তালায় এক এনজিও পরিচালকের বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে স্কুলের জমিসহ এক ব্যক্তির জমি জোরপূর্বক দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) তালা উপজেলার সদর ইউনিয়নের শিবপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তালা থানায় পৃথক ২টি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগীরা। তালা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, তালা উপজেলার সদর ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামের মৃত. ভোলাই খাঁর ছেলে মো. আবু বক্কার খাঁ ওয়ারেশ সূত্রে জমিটি ভোগ করছেন। তাঁর বোন আছিরন বিবি ও সুফিয়া বেগম এখান থেকে তাদের প্রাপ্ত অংশের জমি বেসরকারি সংস্থা উত্তরণ এর কাছে বিক্রি করেন। উত্তরণ পরিচালিত শিশু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিশুতীর্থ স্কুল প্রায় ৭ মাস ধরে ওই জমি ভোগ করে আসছেন।
এদিকে আবু বক্করের অপর বোন আনোয়ারা বেগমসহ ৩ ভাই তাদের প্রাপ্ত অংশের জমি এনজিও সাস’র পরিচালক শেখ ঈমান আলীর কাছে বিক্রি করেন। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) রাত সাড়ে তিনটার দিকে সাস পরিচালক শেখ ইমান আলী ২৫/৩০ জন লোক নিয়ে তার কেনা জমি বাদ দিয়ে বেআইনিভাবে মো. আবু বক্কার খাঁ ও শিশু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিশুতীর্থ স্কুলের জমি অবৈধভাবে দখল করে। সেখানে তারের ঘেরা বেড়া দিয়েছেন তিনি।
বেসরকারি সংস্থা উত্তরণের তালা অফিসের সুপারভাইজার আনিচুর রহমান জানান, করোনার কারণে শিশু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিশুতীর্থ বন্ধ থাকার সুযোগে গত বৃহস্পতিবার রাতে শেখ ঈমান আলী পরিকল্পিতভাবে ২০/২৫ জন ভাড়াটিয়া লোক নিয়ে শিশুতীর্থ স্কুলের ভোগদখলীয় জমি জোর দখল শুরু করেন। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি জমি জোর দখলে বাঁধা দিলে সাস পরিচালক শেখ ইমান আলীসহ তাঁর লোকজন আনিচুর রহমানকে নানান ভয়ভীতি দেখায়। এক পর্যায়ে বিষয়টি তালা থানার ওসি মো. মেহেদী রাসেলকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জমি দখল বন্ধ করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। একই সাথে শিশুতীর্থ স্কুলের জমিতে অবৈধভাবে দেয়া কয়েকটি খুঁটি ও কাটা তারের ঘেরা বেড়া সরিয়ে দেন।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা উন্নয়ন সংস্থ (সাস) পরিচালক শেখ ঈমান আলী জানান, জমির সীমানা দেয়াকে কেন্দ্র করে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তালা থানা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে এসে সেটি নিষ্পত্তি করে দিয়ে গেছেন।
তালা থানার ওসি মো. মেহেদী রাসেল বলেন, বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য একজন পুলিশ অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। উক্ত জমি দ্রুত মাপ জরিপ করে সকল জটিলতার সমাধান করা হবে।