রাতে অফিস কক্ষের মধ্যে প্রেম করার সময় মাদরাসার সুপার জিল্লুর রহমান (৩৫) ও তার প্রেমিকাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। মাদরাসা সুপারের এমন কাণ্ডে শহরজুড়ে তোলপাড় চলছে। বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে প্রেমিকাসহ জিল্লুর রহমানকে লালমনিরহাট সদর থানায় সোপর্দ করে স্থানীয়রা। জিল্লুর রহমান সদর উপজেলার ভাটিবাড়ি আলী আশরাফ হাফিজিয়া মাদরাসার সুপার। তিনি সদর উপজেলার তেলিটারি গ্রামের নোহার ইসলামের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত ছয়মাস আগে ভাটিবাড়ি আলী আশরাফ হাফিজিয়া মাদরাসায় সুপার পদে নিয়োগ পান জিল্লুর রহমান। এর মধ্যে সদর উপজেলার চর খাটামারী গ্রামের একটি মেয়ের সঙ্গে জিল্লুর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মঙ্গলবার রাতে জিল্লুর অফিস কক্ষে প্রেমিকাকে ডেকে নিয়ে আসেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে মাদরাসার আবাসিক ছাত্ররা স্থানীয়দের খবর দেয়। পরে স্থানীয়রা অফিস ঘেরাও করলে জিল্লুর তার প্রেমিকাকে আলমারির মধ্যে লুকিয়ে রেখে সবাইকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর আলমারি থেকে জিল্লুরের প্রেমিকাকে বের করা হয়। মঙ্গলবার রাতভর রফাদফার চেষ্টা শেষে বুধবার দুপুরে স্থানীয়রা প্রেমিকাসহ আটক জিল্লুরকে থানায় সোপর্দ করেন।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ আলম বলেন, ‘আটকরা দু’জনেই অবিবাহিত এবং তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এ ঘটনায় কেউ মামলা দিতে রাজি হচ্ছে না। তাদের বিয়ে দেয়ার আলোচনায় বসেছে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। এরপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’ এদিকে, জনতার হাতে আটক মাদরাসা সুপার ও তার প্রেমিকা এ ব্যাপারে গণমাধ্যমে কিছু বলতে রাজি হননি।