রাবিতে ফারুখ স্মরণে আলোচনা সভা

রাবি প্রতিনিধি |

ru pic 01রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতা ফারুখ হোসেনের স্মরণে এক আলোচনা সভা ও শীতবস্ত্র বিতরণর আয়োজন করা হয়।

সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পেছনে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উদ্যেগে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় ডাবলু সরকার বলেন, গনিত বিভাগের শিক্ষার্থী ফারুখকে ২০১০ সালে ৮ই ফ্রেবুয়ারির ২.৪৫ মিনিটে প্রশাসনে নাকের ডগায় নির্মম ভাবে হত্য করা হয়। হাজার হাজার রাউন্ড গুলি বর্ষনের মাধ্যেমে এমন ভাবে আতঙ্ক করা হয়েছিল যে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভয়ে পালাবার রাস্তা খুজে পাচ্ছিলনা। এমনকি পুলিশ-প্রশাসনের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। ফারুখের হত্যা চার বছর পেরিয়ে গেলেও বর্তমান বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নেননি। কিন্তু আওয়ামী সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনা না থাকলে বর্তমান প্রশাসন না থেকে থাকত জাতীয়তাবাদী শিক্ষকরা। এটা প্রশাসনের ভেবে দেখা দরকার। সে সময়ের ভিসি ফারুখের বোনকে সাময়িক ভাবে চাকরি দিলেও বর্তমান প্রশাসন তা স্থায়ী করেনি। তার বোনের চাকরি স্থায়ী করার আহ্বান জানান এই নেতা।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের (ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক খালিদ হাসান বিপ্লবরে সঞ্চালনায় ও রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশিদুল ইসলাম রাঞ্জুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে, রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: ডাবলু সরকার, মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মীর ইসতিয়াক লিমন, মতিহার থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দীন, রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের (সাবেক) ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর তৌহিদুর রহমান টিটু, মাহমুদুল ইসলাম রাজিব ও শহীদ ফারুখের বোন বক্তব্য রাখেন।

আলোচনা শেষে গরীবদের মাঝে শীত বস্ত্রবিতরণ করা হয় ।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। কোন প্রকার উত্তেজনা না থাকলেও হঠাৎ গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সিট দখলকে কেন্দ্র করে শিবির-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা একযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হল এবং বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিভিন্ন মেসে সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে শিবিরের রাতভর সংঘর্ষ চলে। ওই রাতে খুন হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের মেধাবী ছাত্র ফারুক হোসেন। ফারুখকে নির্মমভাবে খুন করার পর তার লাশ সৈয়দ আমীর আলী হল সংলগ্ন ম্যানহোলে ফেলে রাখে। এছাড়াও শিবিরকর্মীরা ছাত্রলীগের চার নেতাকর্মীর হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয় এবং অর্ধশত পুলিশকে পিটিয়ে আহত করে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024759769439697