রাবিতে হলে থাকা অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের সিট ছাড়ার নির্দেশ

রাবি প্রতিনিধি |

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হলের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের সিট ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) হল প্রাধ্যক্ষ ড. সুজন সেন তথ্যটি জানিয়েছেন।

  

তিনি জানান, অনেকের একাডেমিক পড়াশোনা শেষ হয়েছে তবুও সিটে রয়েছে। আবার বৈধতা না নিয়ে কিছু শিক্ষার্থীও হলে অবস্থান করছে। এদিকে, হলে এলোট পাওয়া নতুন শিক্ষার্থীরা সিটে উঠতে পারছে না। এদের অনেকে খুবই দরিদ্র, তাদের সিট পাওয়া জরুরি। এছাড়া বৈধতা না নিয়ে অবস্থানরত অনাবাসিকদের জন্য হলে অর্থনৈতিক ঘাটতি বাড়ছে, এজন্য সিট ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যথায় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের ১১টি আবাসিক হলে সিট রয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার। তবে এসব হলের পাঁচ শতাধিক সিট ছাত্রলীগের দখলে। এরমধ্যে শাহ মখদুম হলে ৬৮টি, মাদার বখ্স হলে ৮৪টি, নবাব আব্দুল লতিফ হলের ৪৩টি, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে ১৩৭টি, শহীদ শামসুজ্জোহা হলে ৪১টি, শেরে বাংলা হলে ৫০টি, বঙ্গবন্ধু হলে ১৪টি, শহীদ হবিবুর রহমান হলে ২৫টি, শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ৩০টি সিটে অনাবাসিক শিক্ষার্থী রয়েছেন। এছাড়া একাডেমিক লেখাপড়া শেষ করলেও সিট ছাড়েনি অর্ধশতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী। ছাত্রী হলেও একই চিত্র দেখা যায়। তবে সেখানে সিট দখলের অভিযোগ কম। এতে বছরে লক্ষাধিক টাকা লোকসানের মুখে পড়ছে প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক জয়ন্তী রাণী বসাক বলেন, হলগুলোতে এ সমস্যা দীর্ঘদিনের। প্রাধ্যক্ষরা নিজেদের মতো এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন। অনেকে ইতোমধ্যে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। ধীরে ধীরে এ সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
বাকী সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ একসঙ্গে : শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha বাকী সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ একসঙ্গে : শিক্ষা উপদেষ্টা আমি আশ্বাস দিচ্ছি, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha আমি আশ্বাস দিচ্ছি, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন : এহছানুল হক মিলন - dainik shiksha শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন : এহছানুল হক মিলন পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন ৪৯ হিন্দু শিক্ষক - dainik shiksha পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন ৪৯ হিন্দু শিক্ষক শিক্ষাগুরুর মর্যাদা কবিতাটি পাঠ্যবই থেকে বাদ দিয়েছিলেন কামাল চৌধুরী - dainik shiksha শিক্ষাগুরুর মর্যাদা কবিতাটি পাঠ্যবই থেকে বাদ দিয়েছিলেন কামাল চৌধুরী কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024368762969971