রাবিতে হল ত্যাগের নির্দেশ মানছেন না ছাত্রলীগ নেত্রী

রাবি প্রতিনিধি |

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রহমতুন্নেসা হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না তন্নীকে হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে হল প্রশাসন। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার মধ্যে তাকে হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়া হয়। তবে এ নির্দেশনা মানছেন না তিনি। বিকেলেও হলের ৪৫৯ নং কক্ষে অবস্থান করছিলেন তামান্না তন্নী। 

এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে ছাত্রত্ব না থাকায় তামান্না তন্নীকে হল ত্যাগের নির্দেশ দেন রহমতুন্নেসা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোছা. হাসনা হেনা। 

তামান্না তন্নী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। 

হল প্রসাশনের অভিযোগ, তামান্না তন্নী হলের ৪৫৯ নং কক্ষে থাকেন। কক্ষটি চার সিটের। একটা সিট সেখানে ফাঁকা আছে। একজনক শিক্ষার্থীকে সেই সিট বরাদ্দ দিলেও উঠতে দিচ্ছেন না তন্নী। এছাড়াও তার মাস্টার্সের পরীক্ষা শেষ হয়েছে ১৭ থেকে ১৮ মাস আগে। সে রানিং শিক্ষার্থী নয়। এছাড়াও হল প্রশাসন বলছে রহমতুন্নেসা হলে এমফিল শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো সিট বরাদ্দ নেই। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তামান্না তন্নী বলেন, গতকাল রাত ১০টার দিকে প্রভোস্ট ম্যাম দুইজন পুরুষ হাউস টিউটর নিয়ে আমার রুমে এসে আমাকে রুম ছেড়ে দিতে বলেছেন। আমার রুমের অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। ম্যাম অভিযোগ করছেন আমার ছাত্রত্ব নেই। আমার ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে মাস্টার্সের রেজাল্ট হয়। তারপরই আমি এমফিলের জন্য আবেদন করি। কিন্তু একাডেমিক কমিটির মিটিং না হওয়ায় আমার এমফিলের সুপারিশটা আমি এখনো পাইনি। আমার এই বিষয়টি আমি একাধিকবার হল প্রশাসনকে জানিয়েছি। তারপরও হল প্রশাসন এমনটা করেছে। 

তিনি বলেন, আমার সিটে নাকি একটা প্রথম বর্ষের মেয়েকে উঠানো হয়েছে। ওই মেয়ের কাছে ডকুমেন্টস দেখতে চেয়েছি, কিন্তু কোনো ডকুমেন্টস দেখাতে পারেনি। একটা প্রথম বর্ষের মেয়ে ডরমিটরিতে না থেকে কীভাবে প্রথমে রুম পায়?

তিনি আরও বলেন, এর আগে আমাকে হল সুপার ডেকে বলেছিলেন, কোনো সমস্যা হলে শিক্ষার্থীরা কেন তোমার কাছে যায়? তুমি আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিতে পারো না। আমি একটা সংগঠন (ছাত্রলীগ) করি আমার কাছে শিক্ষার্থী আসতেই পারে। কিন্তু তারা এই বিষয়টি ভালো চোখে দেখে না। গতকালকের বিষয়টি আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি। আশা করি প্রশাসন একটা ব্যবস্থা নেবে।

এ বিষয়ে রহমতুন্নেসা হলের হাউস টিউটর ড. রতন কুমার বলেন, গতকাল আমাদের একটা মিটিং ছিল। সেখানে তন্নীর বিষয়ে আলোচনা হয়। তার চার সিটের রুমে একটা সিট ফাঁকা আছে। সেটা একজন শিক্ষার্থীকে বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু তন্নী তাকে উঠতে দেয়নি। এছাড়াও তার এখন আর ছাত্রত্ব নেই। প্রায় ১৭ থেকে ১৮ মাস আগে তার মাস্টার্স শেষ হয়েছে। সে এমফিল করবে বলে আমাদের জানিয়েছে। কিন্তু আমাদের হলে এমফিল শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো আসন বরাদ্দ থাকে না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের মেয়েদের হলগুলো নিয়মমাফিক চলে। সেখানে যে কেউ ইচ্ছে মতো থাকতে পারে না।

তামান্না তন্নী হল ত্যাগ না করায় তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে হলটির আরেক হাউস টিউটর মো. আমিরুজ্জামান বলেন, আমরা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। প্রভোস্ট ম্যামের সঙ্গে তাদের আলোচনা চলছে। সিদ্ধান্ত হলে আপনাদের দ্রুত জানিয়ে দেয়া হবে।

এ বিষয়ে রহমতুন্নেসা হলের প্রভোস্ট ড. মোছা. হাসনা হেনা বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনই কিছু বলতে চাচ্ছি না। সময় হলে আপনাদের ডেকে নিয়ে বিস্তারিত জানাবো। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
মাদরাসা শিক্ষকদের আগস্ট মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha মাদরাসা শিক্ষকদের আগস্ট মাসের এমপিওর চেক ছাড় মাই*রা শ্যাষ কইরা দেন, শেখ হাসিনাকে বলেছিলেন দুই ভিসি - dainik shiksha মাই*রা শ্যাষ কইরা দেন, শেখ হাসিনাকে বলেছিলেন দুই ভিসি আমি আশ্বাস দিচ্ছি, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha আমি আশ্বাস দিচ্ছি, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপদেষ্টা গুচ্ছের ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ ধাপের ভর্তি ৩ সেপ্টেম্বরের পর - dainik shiksha গুচ্ছের ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ ধাপের ভর্তি ৩ সেপ্টেম্বরের পর অষ্টম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন শুরু ১০ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন শুরু ১০ সেপ্টেম্বর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান রকিব উল্লাহ - dainik shiksha কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান রকিব উল্লাহ শিক্ষাগুরুর মর্যাদা কবিতাটি পাঠ্যবই থেকে বাদ দিয়েছিলেন কামাল চৌধুরী - dainik shiksha শিক্ষাগুরুর মর্যাদা কবিতাটি পাঠ্যবই থেকে বাদ দিয়েছিলেন কামাল চৌধুরী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ - dainik shiksha প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসকদের শাটডাউন স্থগিত - dainik shiksha সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসকদের শাটডাউন স্থগিত শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন : এহছানুল হক মিলন - dainik shiksha শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন : এহছানুল হক মিলন পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন ৪৯ হিন্দু শিক্ষক - dainik shiksha পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন ৪৯ হিন্দু শিক্ষক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0050041675567627