প্রতিষ্ঠার ৪৫ বছর পেরিয়ে গেলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগে কোনো নারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়নি। নারী শিক্ষার্থীরা আবেদন করলেও নিয়োগ পাননি বলে অভিযোগ বিভাগ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বিষয়টি লিঙ্গ বৈষম্য কি-না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষকরা।
সূত্রে জানা যায়, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে। বর্তমান এই বিভাগে শিক্ষকের সংখ্যা ২২ জন। যার মধ্যে অধ্যাপক রয়েছেন ১৬ জন, বাকি ছয়জন প্রভাষক।
বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০০১ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত প্রায় ১৪ বছর নিয়োগ বন্ধ ছিল। তারপর সর্বশেষ ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে একবার নিয়োগ হয়েছে। সেখানে ছয়জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোমা দেব বলেন, বিজ্ঞানের এই সব বিভাগগুলোতে মেয়ে শিক্ষার্থীরা কম ভর্তি হন, এটা একটা কারণ হতে পারে। তবে ৪৫ বছর ধরে একটা বিভাগ চলছে সেখানে নারী শিক্ষক নিয়োগ পাননি এটা আশ্চর্যজনক। কারণ মেয়েরাও এখন অনেক ভালো করছেন। তারপরও তারা নিয়োগ না পাওয়া দুঃখজনক। আমার প্রশ্ন কেন সেখানে নারী শিক্ষক নিয়োগ পাচ্ছে না?
বিভাগটিতে প্রতি বর্ষে ৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হন। এর মধ্যে ১৫ থেকে ২০ জন ছাত্রী থাকেন বলে জানা গেছে। ফলাফলেও তারা এগিয়ে আছে গত কয়েক বছর ধরে।
এ বিষয়ে ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি ড. সুলতান উল ইসলাম বলেন, নিয়োগের সময়গুলোতে নারী শিক্ষার্থীরা আবেদন করেছেন। তবে কেন নিয়োগ পাননি সে বিষয়টি বিভাগের তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা বলতে পারবেন।
নারী শিক্ষার্থীরা লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরাও চাই নারী শিক্ষক নিয়োগ হোক। এখানে লিঙ্গ বৈষম্যের কিছু নেই। আমার সভাপতি থাকাকালীন নিয়োগ হলে যোগ্যতার বিচার করা হবে। সে ছেলে কি মেয়ে সেটি দেখা হবে না।