রাবি শিক্ষকের নমিনেশন গায়েব

রাবি প্রতিনিধি |

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের স্টিয়ারিং কমিটির নির্বাচন আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনের সদস্য প্রার্থী গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মুসতাক আহমেদের নমিনেশনপত্র 'গায়েব' হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

নমিনেশন ফিরে না পাওয়ায় ক্ষোভে শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক ফেসবুক পোস্টে আর কখনো কোনো শিক্ষক নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

ওই পোস্টে অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ লেখেন, আমি ড. মুসতাক আহমেদ, প্রফেসর গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। পিতা- আজিম উদ্দিন আহমেদ, মাতা- আকতার হাসনা হেনা আহমেদ, প্রাক্তন সহ-সভাপতি বাংলাদেশ কৃষক লীগ। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের শপথ নিয়ে ঘোষণা করছি যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো পর্যায়ের নির্বাচনে ভবিষ্যতে অংশগ্রহণ করব না। বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নে ও ১৯৭৩ সালের বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের ভাবগাম্ভীর্য বজায় রাখতে অতীতের মতোই সক্রিয়ভাবে শিক্ষক রাজনীতি চালিয়ে যাব।

তিনি আরও লেখেন, যারা আমার নির্বাচন করা নিয়ে শঙ্কিত-আতঙ্কিত; তাদের মনে করিয়ে দিচ্ছি শিক্ষক রাজনীতি ও নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া এক বিষয় নয়। ২০০৪ সালে প্রভাষক ক্যাটেগরিতে সিন্ডিকেট সদস্য পদে নির্বাচন করে ৭ ভোটে পরাজিত হওয়ার অভিজ্ঞতা আছে। ওই নির্বাচনে আমাকে হারানোর কুশীলবরা আজও ঘাপটি মেরে আছে যারা বিভিন্ন মনোভাব নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের ভেতরে। তারা আজ চিহ্নিত। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের স্টিয়ারিং কমিটি নির্বাচনে একজন আহ্বায়ক ও ২০ সদস্য পদের জন্য দুটি প্যানেল গঠন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক আবু বকর ইসমাইল আহ্বায়ক প্যানেলের প্রার্থী ছিলেন অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ।

অধ্যাপক মুসতাক আহমেদের অভিযোগ, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জুবেরী ভবনে তাকে ডেকে নিয়ে নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন গণিত বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক জুলফিকার আলী।

অধ্যাপক মুসতাক নির্বাচনে প্রার্থী না হতে চাইলে উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক মামুনুর রশীদ সরকার মাসুদ ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক শফিকুজ্জামান জোয়ার্দারের অনুরোধে নমিনেশন পূরণ করে নিজের স্বাক্ষর দিয়ে চলে যান তিনি। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি নমিনেশন পেপার যাচাই-বাছাই করার পর জমা দেওয়ার সময় অধ্যাপক মুসতাক আহমেদের নমিনেশন ফরম গায়েব করে দিয়ে অন্য একজন প্রার্থীর নমিনেশন পেপার জমা দেওয়া হয়।

যদিও অধ্যাপক জুলফিকার আলীর দাবি, নমিনেশন গায়েব করা হয়নি। প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় প্যানেল থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তাকে জানানো হয়েছিল।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
চলতি মাসে টানা ৪ দিনের ছুটি মিলবে যেভাবে - dainik shiksha চলতি মাসে টানা ৪ দিনের ছুটি মিলবে যেভাবে সিইসিসহ পাঁচ কমিশনারের পদত্যাগ - dainik shiksha সিইসিসহ পাঁচ কমিশনারের পদত্যাগ রাষ্ট্রপতি যেকোনো সময় পদত্যাগ করতে পারেন - dainik shiksha রাষ্ট্রপতি যেকোনো সময় পদত্যাগ করতে পারেন বাতিল কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা আরও একবছর ভুগবেন কেন? - dainik shiksha বাতিল কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা আরও একবছর ভুগবেন কেন? ডিআইএতে টাকার খেলা, অভিযুক্তরাই স্কুল অডিটে - dainik shiksha ডিআইএতে টাকার খেলা, অভিযুক্তরাই স্কুল অডিটে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নতুন অ্যাডহক কমিটি হবে - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নতুন অ্যাডহক কমিটি হবে প্রাথমিকে স্বতন্ত্র ক্যাডার সার্ভিস চালুর দাবি - dainik shiksha প্রাথমিকে স্বতন্ত্র ক্যাডার সার্ভিস চালুর দাবি দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029749870300293