রাব্বানীকে প্রোটোকল না দেয়ায় ঢাবির ৪ রুমে তালা

ঢাবি প্রতিনিধি |

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মধুর ক্যান্টিনে বিলম্বে উপস্থিত হওয়া এবং নিয়মিত উপস্থিত না হওয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়ে গত শনিবার ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙ্গে দেয়ার জন্য বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার একদিন পরেই গতকাল রোববার মধুর ক্যান্টিনে উপস্থিত হন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।

মধুর ক্যান্টিনে আসার পর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে প্রটোকল দিতে না যাওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের ৪টি রুমে তালা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩২ জন শিক্ষার্থীকে রাতভর হলের বাইরে অবস্থান করতে হয়। রোববার দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলে এই ঘটনা ঘটে। তালা দেয়া রুমগুলো হলো ৬২৬ (ক), ৪০১ (ক), ২৩৭, ২৪৮। হল ছাত্রলীগের যুগ্ন সম্পাদক সৈয়দ শফিউল ইসলাম শপু রুমে তালা দেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের। তিনি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর অনুসারী।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, বিগত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে হলে সিট দেয়ার আশ্বাস দিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামে নিয়ে যান শপু। সর্বশেষ ৩১ আগস্ট গণভবনে নিয়ে যাওয়ার সময়ও তাদের সিট দেয়ার আশ্বাস দেন তিনি। কিন্তু সিট না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী মধুর ক্যান্টিনে আসলে তাকে প্রটোকল দেয়ার জন্য বলে শপু। কিন্তু প্রোটোকল দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার অধীনে থাকা হলের ৪টি রুমে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসব শিক্ষার্থী জানায়, ‘শপু ভাইকে বার বার তালা খুলে দিতে অনুরোধ করলে তিনি বলেন, ‘প্রোগ্রাম করলে থাকতে পারবি, নাইলে হল থেকে বের হয়ে যা।’ এতে শিক্ষার্থীরা নিরুপায় হয়ে রাতভর বাইরে অবস্থান করে।

তবে বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করলেও পরবর্তী সময়ে সৈয়দ শফিউল ইসলাম শপু বলেন, ‘সিনিয়র-জুনিয়র মাঝে একটা ঝামেলা হয়েছিল। বিষয়টা আমি এখনো জানি না, তবে খোঁজ-খবর নিচ্ছি।’

এ বিষয়ে কথা বলতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে কল দেয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026290416717529