বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন প্রধানরাষ্ট্রের তিন অঙ্গকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান ও আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান বলেছেন, কমপ্লিট সেপারেশন বলতে কিছু নেই। রাষ্ট্রের তিন অঙ্গকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। তবে আমরা চাইব বিচার বিভাগে যেন হস্তক্ষেপ না হয়। 

গতকাল মঙ্গলবার বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের দ্বিতীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিচারপতি মমিনুর রহমান এসব কথা বলেন। বৈঠকে কমিশনের সদস্য হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি এমদাদুল হক ও বিচারপতি ফরিদ আহমেদ শিবলী, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মাসদার হোসেন প্র- মুখ উপস্থিত ছিলেন। বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিচারপতি মমিনুর রহমান বলেন, 'বিচার বিভাগের সম্পূর্ণ পৃথকীকরণ' বলতে কিছু নাই। আদালত রায় দিলে তার বাস্তবায়ন করে সরকার। আবার বিচার বিভাগ না থাকলে দেশ চলতে পারবে না। তবে বিচার বিভাগের কথা সবাই শুনতে হবে। সম্মান দিতে হবে। তবে আমরা চাইব বিচার কাজে যেন কোনো হস্তক্ষেপ না হয়। রায় পছন্দ না হলে আপিলের সুযোগ আছে। কারণ রায় দিয়ে তো দুই পক্ষকে খুশি করা যাবে না। তিনি বলেন, সু- প্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগের নীতিমালা করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এটা আমরা করব। নীতিমালার মধ্যে যিনি পড়বেন তিনি বিচারক হবেন, নইলে বাদ পড়বেন।

বিচারপতি মমিনুর রহমান বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করলে হয়তো বেধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে আমরা কাজ শেষ করতে পারব না।

আমাদেরকে৯০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। কাজ শেষে প্রধান উপদেষ্টার নিকট সুপারিশমালা দেওয়া হবে। সেখানে হয়তো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে উপদেষ্টা পরিষদের আলোচনা হবে। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কার কমিশন রিপোর্ট প্রস্তুত করবে। বিলম্বিত বিচার ও মামলার খরচ কীভাবে কমিয়ে আনা যায় সেদিকটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। একটা মামলায় সমন জারি করতে অনেক সময় লেগে যায়। বেদনাদায়ক এই প্রক্রিয়া থেকে কীভাবে বের করা যায় বিচারপ্রার্থীদের সেটা নিয়ে আমরা চিন্তা করছি। আর দুর্নীতি তো আমাদের মজ্জাগত সমস্যা।

বিচারপতি এমদাদুল হক বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই বিচারক নিয়োগের নীতিমালা রয়ে- ছে। নিরপেক্ষ ও যোগ্য বিচারক নিয়োগের লক্ষ্যেই এই নীতিমালা করা হয়। আমরা নীতিমালার বিষ- য়ে পরামর্শ দেব।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
প্রাথমিকে ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হচ্ছে - dainik shiksha প্রাথমিকে ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হচ্ছে স্কুল শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্ধিত করা উচিত - dainik shiksha স্কুল শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্ধিত করা উচিত ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো - dainik shiksha ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.015726089477539