রি-টেস্টেও ফেল, তবু এইচএসসির ফরম পূরণের দাবিতে অনশনে ছাত্রীরা

কামরুল হাসান, দৈনিক শিক্ষাডটকম |

কামরুল হাসান, দৈনিক শিক্ষাডটকম: পুরান ঢাকার সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের কয়েকজন ছাত্রী টেস্ট ও রি-টেস্টে ফেল করেও আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষায় ফরম পূরণের দাবিতে অনশন করেছেন। গতকাল রোববার দুপুর থেকে বিকেল অবধি কলেজের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন তারা। এসময় হুমায়রা নুহা নামে এক ছাত্রী অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ মোতায়ন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

কলেজটির অধ্যক্ষ মো. শফিকুল ইসলাম ছাত্রীদের পুনরায় পরীক্ষার বিষয়ে বলেন, দ্বাদশের মোট ছাত্রী ৯৮২ জন। তাদের মধ্যে টেস্টে ৪৫২ জন পাস করেছেন। এরপর রি টেস্টে আরো ৪৪৪ জন পাস করেন। আর যারা কলেজের সামনে অবস্থান নিয়েছেন তারা পাস করেননি। তাছাড়া তারা কখনোই ক্লাসে নিয়মিত ছিলেন না।

পরীক্ষায় বারবার ফেল করেছেন। তাদের অভিভাবকদের ডাকলেও আসতেন না।  আবার অনেক ছাত্রী ভুয়া অভিভাবক সাজিয়ে নিয়ে আসতেন। কিছু ছাত্রীর অভিভাবক তাদের সন্তানের লেখাপড়ার বিষয়ে উদাসীন। এসব ছাত্রী টেস্ট ও রি-টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করেছেন। তাদের পুনরায় পরীক্ষা নেয়ার আর কোনো সুযোগ নেই। যেহেতু তারা কলেজের গেটে অবস্থান নিয়েছেন এবং ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন, সে কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার স্বার্থে নিকটস্থ থানা থেকে পুলিশ আনা হয়। 

এদিকে অনশনে অংশ নেয়া ছাত্রী সুমাইয়া আকতার নিশি দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪/৫ জন শিক্ষক ছাড়া বাকি শিক্ষকেরা ঠিকভাবে ক্লাসে পড়ান না। তাদের কাছে প্রাইভেট পড়লে পাস, না পড়লে ফেল।

অপর ছাত্রী মানসুরা জামান তিতলি বলেন, ক্লাসে শিক্ষকেরা অপমানজনকভাবে কথা বলেন। এর ফলে লেখাপড়ায় ব্যঘাত ঘটেছে। 

বিউটি আক্তার নামে এক অভিভাবক দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, যারা রেজাল্ট খারাপ করেছেন, তাদের আবারো পরীক্ষা নেয়া হোক। তা না হলে তো তাদের এক বছর নষ্ট হবে। 

আরেক অভিভাবক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি চাই আবার তাদের পরীক্ষার সুযোগ করে দেওয়া হোক।  

উল্লেখ্য, সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের টেস্ট ও রি-টেস্টে পাস করা ছাত্রীরা গত বৃহস্পতিবার পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাওয়ার দাবি নিয়ে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকারের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি তখন সাফ জানিয়ে দেন, টেস্টে ফেল করলে বোর্ডের কিছু করার নেই। আপনাদের কলেজ এ বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত দেবে তা-ই চূড়ান্ত।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ডিআইএর নতুন পরিচালক অধ্যাপক আবু কাইয়ুম - dainik shiksha ডিআইএর নতুন পরিচালক অধ্যাপক আবু কাইয়ুম জাতীয়করণসহ তিন দাবিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরিদের অবস্থান - dainik shiksha জাতীয়করণসহ তিন দাবিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরিদের অবস্থান এমপিওর দাবিতে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শিক্ষকদের পদযাত্রা - dainik shiksha এমপিওর দাবিতে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শিক্ষকদের পদযাত্রা কারিগরিতে ৪০ শতাংশ নম্বরে উপবৃত্তি - dainik shiksha কারিগরিতে ৪০ শতাংশ নম্বরে উপবৃত্তি কাউকে হেনস্তা না করার আহ্বান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের - dainik shiksha কাউকে হেনস্তা না করার আহ্বান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের আটকের পর বিজিবিকে যে প্রলোভন দেখান বিচারপতি মানিক - dainik shiksha আটকের পর বিজিবিকে যে প্রলোভন দেখান বিচারপতি মানিক নয় বছরের শিক্ষিকাকে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হতে বললেন প্রধান শিক্ষক - dainik shiksha নয় বছরের শিক্ষিকাকে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হতে বললেন প্রধান শিক্ষক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0023550987243652