রুয়েটের ১৪ শিক্ষক বৃত্তি পেয়েও বিদেশ যেতে পারছেন না

রাজশাহী প্রতিনিধি |

শিক্ষাবৃত্তি পেয়েও উচ্চ শিক্ষা অর্জনে দেশের বাইরে যেতে পারছেন না রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ১৪ শিক্ষক। পিএইচডি ডিগ্রি নিতে তাদের যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও অট্রেলিয়া যাওয়ার কথা। কিন্তু উপাচার্যের দায়িত্বে কেউ না থাকায় তারা শিক্ষা ছুটি পাচ্ছেন না।

গত বছরের ৩১ জুলাই রুয়েটের উপাচার্য প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম সেখের মেয়াদ শেষ হয়। এর পর ভারপ্রাপ্ত উপচার্যের দায়িত্ব পান প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন। পদোন্নতি প্রার্থী শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে গত ২৮ মে তিনি পদত্যাগ করেন। এর পর থেকে রুয়েটে উপাচার্যের পদটি শূন্য এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কাউকে দায়িত্বও দেওয়া হয়নি। 

রুয়েটের ইলেট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক মাহবুবুর রহমান জানান, তিনি আমেরিকার পারডু বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রির জন্য পূর্ণ বৃত্তিসহ সুযোগ পেয়েছেন। সেখানে বাসা ভাড়ার জামানত হিসেবে প্রায় ২ লাখ টাকা পাঠিয়েছেন। প্লেনের টিকিট কেটেছেন পৌনে ২ লাখ টাকায়। আগামী ৯ আগস্ট তাঁর যাওয়ার কথা। কিন্তু উপাচার্যের দায়িত্বে কেউ না থাকায় এখনও শিক্ষা ছুটি পাননি।

তাঁর মতো আরও ১৩ জন শিক্ষক তাদের উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন। একই বিভাগের শিক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, আগামী ১৫ আগস্ট তার যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার ফ্লাইট। কিন্তু এখন পর্যন্ত ছুটি পাননি। এ সমস্যায় পড়া অন্য শিক্ষকরা হলেনু ইসিই বিভাগের মিলটন কুমার কুণ্ডু, ইইই বিভাগের মামুনুর রশীদ, ফিরোজ মাহমুদ, সোহানী মুনতেহা হিয়াম, সাধন চন্দ্র মোহন্ত, আইপিই বিভাগের সজল আহমেদ ও নুসরাত জাহান, এমই বিভাগের শরীফা খাতুন, মেকাট্রনিং বিভাগের প্রাঙ্গন দাস ও সুব্রত কুমার সরকার, সিএসই বিভাগের আবু সাঈদ এবং বিইসিএম বিভাগের অজয় কুমার শুভ।

এই শিক্ষকরা ছুটির জন্য রুয়েট উপাচার্য বরাবর অবেদন করেছেন। কিন্তু উপাচার্যের দায়িত্বে কেউ না থাকায় তাদের ছুটি এখনও অনুমোদন হয়নি। শিক্ষা সচিব ও ইউজিসি চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি পাঠিয়েও সুরাহা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে রুয়েটের রেজিস্ট্রার সেলিম হোসেন বলেন, ‘এই সমস্যা নিরসনে গত ২২ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। কিন্তু কোনো সাড়া পাইনি। উপাচার্যের দায়িত্বে কেউ না থাকায় রুয়েটের কার্যক্রম চালাতে নানা সমস্যা হচ্ছে। উন্নয়ন প্রকল্প আটকে গেছে। চিকিৎসার জন্য অনেকে দেশের বাইরে যেতে পারছেন না। শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে শিক্ষকরা বিদেশে যেতে পারছেন না। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা যাচ্ছে না।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ বছরের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে কমিটি - dainik shiksha জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ বছরের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে কমিটি স্কুলে ভর্তির আবেদন করবেন যেভাবে - dainik shiksha স্কুলে ভর্তির আবেদন করবেন যেভাবে এইচএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের ফল বৃহস্পতিবার, জানবেন যেভাবে - dainik shiksha এইচএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের ফল বৃহস্পতিবার, জানবেন যেভাবে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু ২ জানুয়ারি - dainik shiksha অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু ২ জানুয়ারি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা - dainik shiksha গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা দপ্তরসহ সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে চালাতেন পিয়ন! - dainik shiksha দপ্তরসহ সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে চালাতেন পিয়ন! ৬১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ চূড়ান্ত! - dainik shiksha ৬১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ চূড়ান্ত! গণভবন, ভিকারুননিসার বোন ও আইডিয়ালের কলোনি কোটা বাতিল - dainik shiksha গণভবন, ভিকারুননিসার বোন ও আইডিয়ালের কলোনি কোটা বাতিল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে ভাসানী, শেরেবাংলা-সোহরাওয়ার্দীকেও জাতির পিতা করার পরামর্শ - dainik shiksha ভাসানী, শেরেবাংলা-সোহরাওয়ার্দীকেও জাতির পিতা করার পরামর্শ সমন্বয়কদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, সাবধান: সারজিস - dainik shiksha সমন্বয়কদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, সাবধান: সারজিস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026130676269531