রেল মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রেলওয়ের বিভিন্ন শ্রেণিতে প্রায় ২০ হাজার পদ শূন্য রয়েছে। গত ৯ মাসে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দুই হাজার ৮৮০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই রেলের জনবল সংকট নিরসন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মঙ্গলবার সংসদে এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
তিনি জানান, গত ৫ বছরে ১৩০টি নতুন ব্রডগেজ কোচ, ২৫৮টি মিটারগেজ কোচ, ৩০টি মিটারগেজ ও ২৫টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ রেলবহরে যুক্ত হয়েছে। এছাড়া ৮৯টি মিটারগেজ কোচ, ২২০টি ব্রডগেজ কোচ, ৭৫টি মিটারগেজ লাগেজ ভ্যান, ৫০টি ব্রডগেজ লাগেজ ভ্যান, ৫৮০টি মিটার গেজ ওয়াগন, ৪২০টি ব্রজগেজ ওয়াগন ও ১৫টি লোকোমোটিভ সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকারের আমলে ৮৫১ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে। এ সময়ে এক হাজার ১৪টি নতুন রেলসেতু নির্মাণ, ৯৫২টি রেলসেতু পুনর্বাসন,পুনঃনির্মাণ, ১৩২টি স্টেশন ভবন নির্মাণ, ২৩১টি ভবন সংস্কার, ৩৪০ কিলোমিটার রেলপথ ডুয়েল গেজে রূপান্তর এবং এক হাজার ৩৭৯ কিলোমিটার রেলপথ পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে।
মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটে বৈদ্যুতিক ট্রেন সার্ভিস চালুর লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ইলেকট্রিক ট্র্যাকশন প্রবর্তনের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা এবং বিশদ ডিজাইনের কাজের জন্য পরামর্শক নিয়োগে ১৭ জুলাই চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। আগামী বছরের এপ্রিলে এই সমীক্ষা শেষ হবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, সমীক্ষা প্রকল্প শেষ হলে মূল প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।