র‌্যাগ ডে পালন করতে না দেওয়ায় কলেজ ভবনে শিক্ষার্থীদের ভাঙচুর

নেত্রকোনা প্রতিনিধি |

এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের বিদায় দিনে র‌্যাগ-ডে পালন করতে চাচ্ছিলেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু সরকারিভাবে র‌্যাগ পালনে নিষেধ থাকায় ও অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটার ভয়ে এতে বাধা দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। ফলে, ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা কলেজের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ভাঙচুর করে। এসময় কুপিয়ে বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষের দরজা-জানালা, টেবিল, হোয়াইটবোর্ড, সিলিং ফ্যান ও সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয়। 

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ সরকারি কলেজে গতকাল শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কলেজে ছুটে যায় মোহনগঞ্জ থানার পুলিশ। তবে পুলিশ যাওয়ার আগেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে হামলাকারী শিক্ষার্থীরা। ঘটনার দিন কলেজে উপস্থিত ছিলেন না অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল হোসেন চৌধুরী। ঘটনার সময় উপস্থিত শিক্ষক ও স্টাফরা নিজ কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে নিজেদের তালাবদ্ধ করে রাখেন। 

রোববার দুপুরে সরেজমিন কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।
 
এদিন প্রভাষক বিজয় কুমার রায় দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের বিদায়ী শিক্ষার্থীরা র‌্যাগ-ডে পালন করতে চায়। সরকারিভাবে র‌্যাগ-ডে নিষেধ থাকায় কলেজ কর্তৃপক্ষ এতে বাধা দেয়। বিদায় বেলায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটু স্মৃতিচারণ হোক এটা হলে ভালো। কোনো অনাকাঙ্খিত কোনো ঘটনা যেন না হয় সেকারণেই মূলত র‌্যাগ-ডে পালনে নিষেধ করা হয়েছে বলে দাবি করেন এ শিক্ষক।’

তিনি বলেন, শনিবার সকালে এ বিষয়ে কলেজে এসে শিক্ষার্থীরা র‌্যাগ-ডে পালন নিয়ে আলোচনা করে। শিক্ষকরা এতে রাজি না হলে তারা চলে যায়। কিছুক্ষণ পরে বেশ কয়েকজন দল নিয়ে এসে এসে কলেজে ভাঙচুর। আমরা গ্রিলে তালা লাগিয়ে কক্ষে বসে থাকি। তারা দরজা-জানালাসহ বিভিন্ন কক্ষে ভাঙচুর করে চলে যায়। সোমবার অধ্যক্ষ স্যার আসলে এ নিয়ে আলোচনা করে এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করা হবে। 

এ বিষয়ে প্রভাষক ইমাম হাসান বলেন, হামলা হয়েছে শুনেছি। এসময় কলেজে ছিলাম না। তাই কারা এটি করেছে বলতে পারবো না। 

প্রভাষক জহিরুল ইসলাম (রনি) বলেন, র‌্যাগ-ডে নিয়ে হামলার বিষয়ে শুনেছি। তবে এ বিষয়ে আর বেশি কিছু বলতে তিনি রাজি হননি।

এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। গিয়ে কাউকে পাইনি, ততক্ষণে তারা চলে গেছে। ভাঙচুরের বিষয়টি দেখেছি। এ বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ মো. আবুল হোসেন চৌধুরীর মোবাইলফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মানদণ্ড কী? - dainik shiksha শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মানদণ্ড কী? প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ অবসর-কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার কড়া তাগিদ - dainik shiksha অবসর-কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার কড়া তাগিদ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে সুপ্রিম কোর্টের ফতোয়ার রায় পাঠ্যপুস্তকে নিতে হবে - dainik shiksha সুপ্রিম কোর্টের ফতোয়ার রায় পাঠ্যপুস্তকে নিতে হবে সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি - dainik shiksha সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029411315917969