র‌্যাবের কাছ থেকে হত্যা মামলার আসামি ছিনিয়ে নিলো ছাত্রলীগ

বগুড়া প্রতিনিধি |

বগুড়ায় র‌্যাবের হাত থেকে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের বহিষ্কৃত এক ছাত্রলীগ নেতা ও হত্যা মামলার আসামি আব্দুর রউফকে ছিনিয়ে নিয়েছে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। 

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে শহরের সাতমাথা চত্বরের মুজিব মঞ্চের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ছাত্রলীগের ওই বহিষ্কৃত নেতাকে ছিনিয়ে নেয়ার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া র‍্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার তৌহিদুল মুবিন খান।

আব্দুর রউফ বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত বছরের ১১ মার্চ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক তাকবির ইসলাম খানকে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি তিনি। ওই হত্যাকাণ্ডের পর ছাত্রলীগ থেকে রউফকে বহিষ্কার করা হয়।  

জানা যায়, বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গত ৭ নভেম্বর থেকে কর্মসূচি-পাল্টা কর্মসূচি পালন হচ্ছিলো। সম্প্রতি ছাত্রলীগ কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া, দরজা ভাঙা, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিলের জন্য সাতমাথা চত্বরে মুজিব মঞ্চের সামনে জড়ো হন নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ তাদের অনুসারীরা। ওই মিছিলে অংশ নিতে ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা আব্দুর রউফ সেখানে উপস্থিত হন।  

এদিকে মিছিল শেষে তারা পুনরায় মুজিব মঞ্চের সামনে জড়ো হন। এ সময় র‍্যাব-১২  বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার তৌহিদুল মুবিন খানের নেতৃত্বে র‍্যাব সদস্যরা রউফকে আটক করেন। এরপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা র‍্যাবের হাত থেকে রউফকে ছিনিয়ে নেয়। পরে স্লোগান দিতে দিতে তারা দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন।  

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয় জানান, মিছিলকে কেন্দ্র করে সাতমাথা এলাকায় নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও র‍্যাব সদস্যরা ছিলেন। সেখানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে রউফকে সরিয়ে নেয়া হয়৷ র‍্যাবের হাত থেকে তাকে ছিনিয়ে নেয়া হয়নি।

র‍্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার তৌহিদুল মুবিন খান জানান, অন্য একজনকে ভেবে তাকে ডেকে নাম-পরিচয় জানার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে আটক করা হয়নি। আমরা কথা বলার সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে টানাটানি করছিল ৷


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর - dainik shiksha শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি - dainik shiksha মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী - dainik shiksha আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই - dainik shiksha প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে - dainik shiksha জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ - dainik shiksha বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য - dainik shiksha এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা - dainik shiksha অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর - dainik shiksha ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন - dainik shiksha বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী - dainik shiksha একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0053920745849609