বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনে অংশ নিয়ে ৫ আগস্ট আহত হন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) সাবেক শিক্ষার্থী ও এনএসইউ ক্যারিয়ার অ্যান্ড প্লেসমেন্ট সেন্টারে (সিপিসি) কর্মরত খায়রুল আলম।
এতে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের পাশাপাশি ফুসফুস বিকল হয়ে পড়ায় লাইফ সাপোর্টে আছেন তিনি। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে গত ৭ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন খায়রুল। উত্কন্ঠায় দিন কাটছে তার পরিবারের।
আহত খায়রুলের চিকিত্সার ব্যাপারে সার্বক্ষণিক খবর রাখছে এনএসইউ। এ প্রসঙ্গে উপাচার্য আতিকুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় আমরা মর্মাহত ও উদ্বিগ্ন। তাকে ইতো মধ্যে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। পরে চিকিত্সা সংক্রান্ত সব দায়-দায়িত্ব বহন করবে বিশ্ববিদ্যালয়। খায়রুল যেনো দ্রুত স্বাভাবিক কর্মজীবনে ফিরে আসতে পারে সেজন্য সবার কাছে দোয়া চাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাকে দেখতে হাসপাতালে যান সিপিসির পরিচালক ড. খসরু মিয়া। এ সময় তিনি খায়রুলের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন।
কোটা সংস্কারের দাবিতে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে আহত অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থীর চিকিত্সায় আর্থিক সহায়তা দিয়েছে এনএসইউ।
এদিকে, আন্দোলন পরবর্তী সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিলভিয়া আহমেদ।
খায়রুলের চিকিত্সার সমস্ত ব্যয়ভার বহন করছে এনএসইউ কর্তৃপক্ষ। সব ধরনের জরুরি পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর এনএসইউ। এনএসইউ ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমের অধীনে মেডিক্যাল, পুলিশ বিষয়ক, আইন এবং কাউন্সেলিং টিমগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করছে।