কুমিল্লার লালমাই উপজেলার ভুশ্চিতে ব্যক্তি মালিকানাধীন ‘জামিয়াতুল আশরাফ মাদরাসা’র এক শিশু শিক্ষার্থীকে হাত ও পায়ে শিকল বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন স্থানীয় ভুলইন দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান।
গতকাল বিকালে নিজ কার্যালয়ে স্থানীয় গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সালিশ বৈঠক শেষে তিনি এ সিদ্ধান্ত দেন। শিশুর পিতা নাজিমুদ্দিন বলেন, আমার ছেলে মাঝে মাঝে পালিয়ে যেতো। সে কারণে আমি বলেছিলাম মাদরাসা থেকে যেন বের হতে না পারে। এভাবে শিকল দিয়ে বাঁধতে বলিনি। এভাবে বেত্রাঘাত করতেও বলিনি। অভিযুক্ত হাফেজ আজহারুল ইসলাম বলেন, ছেলেটি বারবার মাদরাসা থেকে পালিয়ে যায়। সে কারণে মাদরাসার গেট আটকানোর শিকল দিয়ে শিক্ষার্থীর হাত ও পায়ে তালা মেরে আটকে দিয়েছি। আর বুধবার বিকালে বেত্রাঘাত করে আমি নিজেই ওষুধ খাইয়েছি।
তারপরও সে রাতে শিকল পরে পালিয়ে যায়। আমি এই ঘটনায় অনুতপ্ত।
মাদরাসার মোহতামিম মাওলানা হোসাইন বলেন, আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে কখনো এমন নির্যাতনের অভিযোগ পাইনি। তবে বুধবার বিকালে তিনি শিশুটিকে নির্যাতন করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতেই তাকে মাদরাসা থেকে বেতন ভাতা বুঝিয়ে দিয়ে বিদায় দেবো।
ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন, বৈঠকে উপস্থিত সকলের পরামর্শক্রমে অভিযুক্ত শিক্ষককে মাদরাসা থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌমিতা দাশ বলেন, শিক্ষক কর্তৃক শিশুটিকে নির্যাতনের বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সমাধান করেছেন।