সব শিশুর শেখার ক্ষমতা এক রকম নয়। কোন কোন শিশু যে কোন বিষয় দ্রুত রপ্ত করতে পারে, আবার কিছু শিশু রয়েছে যাদের কোন কিছু ধরতে একটু বেশি সময় লাগে। শিশুদের শেখার ওপর কি কি বিষয় প্রভাব ফেলে তা নিয়ে অনেক ধরনের গবেষণা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ওয়ারউইকের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যেসব শিশু কিসমিস খেতে আগ্রহী হয় তাদের মনোযোগ দেয়ার ক্ষমতা বেশি থাকে, পড়াশোনায় ভালো করে।
তবে এবার যুক্তরাজ্যের এক গবেষণায় বলা হয়েছে যে, শিশুর পড়াশোনার ওপর নাকি সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করে জিনগত বৈশিষ্ট্য। বিষয়টি প্রমাণের জন্য গবেষকরা যুক্তরাজ্যের ছয় হাজারের বেশি যমজের পড়াশোনার তথ্য সংগ্রহ করেছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা দেখতে পেয়েছেন যে, যমজ ভাই-বোনদের মধ্যে ফলাফল অনেকটাই এক রকম। অর্থাৎ তাদের জিনগত বৈশিষ্ট্য দ্বারাই অনেকটা নির্ধারিত হয়েছে একাডেমিক ফলাফল।
একাডেমিক ফলাফলের ওপর জিনগত বৈশিষ্ট্যের প্রভাবের এই সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে গবেষকরা স্কুল পর্যায় থেকে হাই স্কুল অতিক্রম পর্যন্ত ছয় হাজার যমজের একাডেমিক ফলাফল সংগ্রহ করে তা যাচাই করেন। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দুই তৃতীয়াংশ যমজ ভাই-বোনদের ফলাফল কাছাকাছি পর্যায়ের। তবে যমজদের ফলাফলে যে বৈপরীত্য নেই এমনটা নয়। অনেক ক্ষেত্রেই তারা দেখতে পেয়েছেন যে যমজদের একজন ক্লাশের সেরা শিক্ষার্থী তো অন্যজন রয়েছে তালিকার একদম শেষ দিকে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জমদের ফলাফল কাছাকাছি হওয়ার কারণেই তারা মনে করছেন জিনগত কারণে এটা হয়েছে। শিশুদের ওপর জিনগত এবং পরিবেশগত বিষয়গুলোর প্রভাব যাচাই করতেই তারা এই গবেষণা করেন।
মজার বিষয় হলো, যমজদের মধ্যে যাদের চেহারায় মিল থাকে তুলনামূলকভাবে তাদের ফলাফলেও অনেকটা সাদৃশ্য থাকে। এই যমজদের চেহারার মতো শতভাগ জিন একই রকম হয়। অন্যদিকে যে যমজদের চেহারা এক রকম নয়, তাদের জিনের মধ্যে শতকরা ৫০ ভাগ মিল থাকে। এসব ক্ষেত্রে তাদের ফলাফলে খুব বেশি মিল পাননি গবেষকরা।
-বিবিসি।