যশোর জেলা পরিষদ ভবন ভেঙে ফেলার চূড়ান্ত আয়োজন সম্পন্ন হতে চলেছে। ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক দুই বাংলার প্রথম জেলা যশোরের দ্বিতীয় প্রশাসনিক ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে তা নিলামে বিক্রি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমিন প্রধানের সই করা এক চিঠিতে ৫ ফেব্রুয়ারি এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
এতে ক্ষুব্ধ যশোরের ঐতিহ্য রক্ষা সংগ্রাম কমিটিসহ নানা সংস্থা ও সংগঠন। তারা ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক দুই বাংলার প্রথম জেলা যশোরের দ্বিতীয় প্রশাসনিক ভবনটি (লাল ভবন) ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
জানা যায়, ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ জানুয়ারি জেলা কনডেমনেশন কমিটি ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে ঐতিহ্যবাহী ভবনটি ভেঙে সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণের সুপারিশ করেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল। গত ৩০ অক্টোবর জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদ যশোর যৌথভাবে আবারও চিঠি দেয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভবনটিকে অকেজো ঘোষণা করে নিলামে বিক্রি করার জন্য ফের চিঠি এসেছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘জেলা কনডেমনেশন কমিটির সুপারিশ ও জেলা পরিষদ যশোরের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দ নির্মিত জেলা পরিষদের অফিস ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা এবং ২৩ লাখ ১৩ হাজার ৮৮৭ টাকার (ভাঙার খরচ বাদে) প্রাক্কলন অনুযায়ী নিলামে বিক্রির প্রশাসনিক অনুমতি দেওয়া হলো।’
যশোরের ঐতিহ্য রক্ষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক সাংবাদিক-মুক্তিযোদ্ধা রুকুনউদ্দৌলাহ বলেন, ভবনটি যশোরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের অংশ। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যশোরের
ইতিহাস জানার সুযোগ দিতে ভবনটি টিকিয়ে রাখা উচিত। ভবন ভাঙার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর আন্দোলন করা হবে।জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল বলেন, তিনি এখনও চিঠি পাননি। তবে পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, চিঠি পেয়েছি। এখনও দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। বৈঠক করে সিদ্ধান্ত হবে।