শতবর্ষী স্কুলের মাঠ রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি |

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক: ১০৪ বছরের ঐতিহ্যবাহী কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়া জয়নাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যালয়ের মাঠ রক্ষার দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। অন্যদিকে বিদ্যালয়ের জমিদানকারীর ওয়ারিশরা পাল্টা অভিযোগ করে বলছেন, স্থানীয় ওয়ার্ডের মেম্বার এবং মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক পাওনা জমি বুঝে পেতে বাধা দিচ্ছেন।

জানা গেছে, গতকাল শনিবার বিদ্যালয়ের মাঠ রক্ষার দাবিতে মাঠেই মানববন্ধন করেন অভিভাবক, এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের একাংশ।

এলাকাবাসী ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত জয়নাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ২৯২ দাগে মৌখিকভাবে ৭০ শতক জমিদান করেন স্থানীয় মৃত ইসমাইল বিশ্বাস। ওই জমির সঙ্গে ২৯৩ দাগে আরও ৪৭ শতক জমি রয়েছে দানকারীর। প্রায় ১০৪ বছর ধরে দুটি দাগের জমির সম্পূর্ণ ব্যবহার হচ্ছে বিদ্যালয় ও মাঠ হিসেবে। এরপর প্রায় সাত মাস আগে জমিদাতার ছয় মেয়ে ও স্বজনেরা ২৯৩ দাগের ২৩ শতক ওয়ারিশসূত্রে দাবি করেছেন। এ নিয়ে জমিদাতার বড় মেয়ে আনোয়ারা খাতুন এসি ল্যান্ড অফিসে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

জানতে চাইলে জমিদানকারী মৃত ইসমাইল বিশ্বাসের নাতনি মৌসুমী খাতুন বলেন, ‘আমরা ওয়ারিশসূত্রে ২৯৩ দাগে সাড়ে ২৩ শতক জমি পাব। মোট জমি ১১৭ শতক। ৪২ শতক হলেই স্কুল নির্মাণ করা যায়। আমার নানা ৭০ শতক জমিদান করেছিলেন। জমির ওপর স্কুলের ভবন, মসজিদ ও মাদ্রাসা রয়েছে। বাকিটা মাঠ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমার ওয়ারিশসূত্রে পাওনা ২৩ শতক জমি বুঝে দিতে কেউ বাধা না দিলেও তাঁরা দুজন বাধা দিচ্ছেন।’

 

চাপড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার রিপন মণ্ডল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এলাকাবাসী মাঠ রক্ষার দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। জমি নিয়ে আমাদের বাধা দেওয়ার কিছু নেই।’

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত বলেন, সুবিধামতো সময়ে উভয় পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে সমস্যার সমাধান করা হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
সরকার প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ - dainik shiksha সরকার প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ কারিগরির এসএসসি ও দাখিলের রেজিস্ট্রেশনের সময় ফের বাড়লো - dainik shiksha কারিগরির এসএসসি ও দাখিলের রেজিস্ট্রেশনের সময় ফের বাড়লো প্রাথমিকের ডিজির অপসারণ ছাড়া কাজে ফিরবেন না কর্মকর্তা-কর্মচারীরা - dainik shiksha প্রাথমিকের ডিজির অপসারণ ছাড়া কাজে ফিরবেন না কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘তুমি কে আমি কে? আদুভাই আদুভাই’ স্লোগান শেকৃবি শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ‘তুমি কে আমি কে? আদুভাই আদুভাই’ স্লোগান শেকৃবি শিক্ষার্থীদের মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে একগুচ্ছ প্রস্তাব - dainik shiksha মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে একগুচ্ছ প্রস্তাব ঢাবির নতুন প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ - dainik shiksha ঢাবির নতুন প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0040750503540039