শতভাগ উৎসব ভাতা, চাকরি জাতীয়করণসহ পাঁচ দফা দাবিতে শিক্ষকবন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ। দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার সকালে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। যদিও এটা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো।
কর্মসূচিতে ঢাকা জেলা ও মহানগরের মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষকেরাও অংশ নেন। জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থানকালে শিক্ষকেরা দাবি আদায়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
শিক্ষকবন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো.মুজিবুর রহমান বাবুল, ঢাকা জেলা শাখার সভাপতি মো. এনামুল হক, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মো:আহমেদ হোসেন,ঢাকা মহানগর দক্ষিন শাখার সভাপতি মো.আমানুর রশিদসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয়,জেলা ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ।
কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শফি উদ্দিন। তিনি বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমাদের এই ন্যায় সংগত দাবী আদায়ের জন্য আর আন্দোলন করতে হবে না। মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনা মহান স্বাধীনতার এই সূবর্নজয়ন্তীতে শিক্ষক কর্মচারীদের এ প্রানের দাবী মেনে নিবেন।
কর্মসূচিতে পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো.মুজিবুর রহমান বাবুল বলেন, ‘আমরা শিক্ষকেরা খুবই অসহায়। বাজারমূল্যের সঙ্গে আমাদের টিকে থাকা দায় হয়ে যাচ্ছে। আমরা শতভাগ উৎসব ভাতা, সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া, প্রধান শিক্ষকদের ষষ্ঠ গ্রেড, সহকারী প্রধান শিক্ষকদের সপ্তম গ্রেড, সহকারী শিক্ষকদের ১০ বছর ও পরবর্তী ৬ বছরে সিলেকশন গ্রেড চাই। তা না হলে পরিবার-পরিজন নিয়ে আমরা চরম দুর্ভোগে পড়ব। আমরা আমাদের দাবির বাস্তবায়ন চাই।’
প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষকের অংশগ্রহনে বেলা সাড়ে ১২টায় এ কর্মসূচি শেষ হয়।