সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে ভাস্কর্য সরানোর প্রতিবাদে শনিবার (২৭ মে) সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ মে) বেলা সোয়া ১২টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট সড়কে প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে এলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এরপর ঘোষণা করা হয় কর্মসূচি।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ বাধা দিলো। রাবার বুলেট, টিআরসেল ও জলকামান নিক্ষেপ করলো। আমরা ঘোষণা করছি- সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগামীকাল (শনিবার) বিক্ষোভ পালন করা হবে।
এদিকে পুলিশি বাধার সময় মিছিলে অংশ নেওয়া চারজনকে আটক করা হয়েছে। রাবার বুলেট, টিআরসেলে আহত হয়ে বেশ কয়েজন এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার বলেন, কোর্ট চত্বর একটি নিরাপত্তার স্থান। এখানে এভাবে মিছিল নিয়ে আসা যায় না। পুলিশ তার কাজটাই করেছে। প্রথমে মৌখিকভাবে বলা হলেও না সরায় ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বেলা সাড়ে ১১টার এখানে জড়ো হয়ে প্রতিবাদে শামিল হন তারা। সেখান থেকেই সুপ্রিম কোর্ট অভিমুখে বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে যাওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দিনগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে ভোর পর্যন্ত গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্য সরানোর কাজ হয়। সেসময় সুপ্রিম কোর্টের ফটকের সামনে বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন প্রগতিশীল রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
অনেকদিন ধরেই কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামসহ ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দল সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে ভাস্কর্যটি সরানোর দাবি জানিয়ে আসছিল।