শাটডাউনের সমর্থনে কলকাতায় মিছিল, আটক ৭৫

কে কে মল্লিক, কলকাতা |

বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের আঁচ পড়ে কলকাতায়৷ কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি ও সহমত জানাতে কলকাতায় বাংলাদেশ হাই কমিশন অভিযানের ডাক দিয়েছিলো বিভিন্ন বাম সমর্থিত ছাত্র সংগঠন৷

এই ছাত্র মিছিলে এআইডিএসও, এআইএসএফ, পিডিএসপি, পিএলওয়াই, ডিএস ও আইসাসহ বিভিন্ন বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেন। পুলিশ ছাত্রদের মিছিল কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস পর্যন্ত যেতে দেয়নি৷ পথেই তাদের আটকানো হয়। এ সময় দূতাবাসের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটকও করা হয়।

ছাত্র সংগঠনগুলো একত্রিত হয়ে রবীন্দ্র সদন চত্বর থেকে মিছিল শুরু করে। আন্দোলনকারীরা বাংলাদেশের পড়ুয়াদের মৃত্যুর বিচার দাবি করেন। রবীন্দ্র সদন চত্বরেই পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করেছিলো। ছাত্রছাত্রীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করতেই পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি বাধে। সংগঠনগুলোর দাবি, ৭৫ শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ।

এআইডিএসও কলকাতা জেলা সম্পাদক মিজানুর রহমান জানান, বাংলাদেশে সরকারের হাতে পড়ুয়ারা মারা যাচ্ছেন। সেই মৃত্যুর বিচার চেয়ে কলকাতায় শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিলেন শিক্ষার্থীরা, কিন্তু তা আটকে দেয় পুলিশ। 

এআইডিএসও’র রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় এই ঘটনার নিন্দা করে জেলায় প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা জানান, বাংলাদেশে থাকা তাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে পারছেন না৷

এদিকে, বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জির এক মন্তব্যে তোলপাড় চলছে। এ নিয়ে দিল্লির দ্বারস্থ হয়েছে ঢাকা। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নোট পাঠিয়ে তার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার এ নিয়ে কথা বলেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ‘বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝরছে’ মর্মে এক্স হ্যান্ডেল-এ (টুইট) যে মন্তব্য করেছেন সে বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখে বলতে চাই, তার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার, ঘনিষ্ট ও উষ্ণ। কিন্তু তার (মমতা ব্যানার্জী) এই বক্তব্যে বিভ্রান্তির সুযোগ রয়েছে। আমরা এ বিষয়ে ভারত সরকারকে নোট পাঠিয়েছি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর - dainik shiksha শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি - dainik shiksha মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী - dainik shiksha আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই - dainik shiksha প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে - dainik shiksha জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ - dainik shiksha বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য - dainik shiksha এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা - dainik shiksha অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর - dainik shiksha ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন - dainik shiksha বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী - dainik shiksha একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024940967559814