শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ছিনতাইয়ের শিকার ছাত্রী, আটক ২

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি |

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অভ্যন্তরে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন পরিসংখ্যান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা জোরদারের দাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের।

রোববার (০৯ জুলাই) রাত আনুমানিক ৮টার দিকে টিউশন থেকে ক্যাম্পাসে ফিরছেন পরিসংখ্যান বিভাগের এক শিক্ষার্থী। ফেরার পথে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের পাশ এলে দুই বহিরাগত যুবক তার হাতে থাকা ফোন ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি জানাজানির পর তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকলে (পতিত ডোবায়) সেখান থেকে ফোনসহ দুই ছিনতাইকারীকে আটক করেন নিরাপত্তা কর্মীরা। 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, টিউশন থেকে ফেরার পথে দুই ছাত্রীহলের মাঝে এলে কেউ একজন তার হাতে থাকা মোবাইল ফোন টান দেয়। পরে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়। তারা বিষয়টি প্রক্টরকে জানান। পরে প্রক্টর ও নিরাপত্তা কর্মীদের সহায়তায় তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে হলের পাশের পতিত ডোবা থেকে তাদেরকে মোবাইলসহ আটক করা হয়।

আটকরা হলেন সুজন আহমেদ (২১), পিতা শাহনুর মিয়া, তার বাসা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন নাজিরগাঁও এলাকায় ও মঈনুল ইসলাম (১৮) পিতা আবুল হোসেন, তার বাসা টুকের বাজার এলাকায়। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে টিয়র বাড়ি পকেট গেট দিয়ে প্রবেশ করেছেন বলে জানা যায়। 

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আটক দুজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে নেওয়া হয়েছে। রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে তাদেরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে মামলা দেওয়া হবে। তাদেরকে পুলিশের মাধ্যমে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করে আরো কেউ জড়িত থাকলে বা তাদের গ্রুপে কেউ থাকলে তাদেরও শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গত বছর ২৫ জুলাই সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অবস্থিত গাজী কালুর টিলায় ঘুরতে যান বুলবুল আহমেদ। পরে সেখানে অবস্থানকালীন সময়ে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হন তিনি। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় বুলবুলের। পরে তাকে উদ্ধার করে মেডিকেলে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনার এক বছর পর আবারো ক্যাম্পাসে ছিনতাইয়ের পুনরাবৃত্তি ঘটলো।
 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ বছরের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে কমিটি - dainik shiksha জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ বছরের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে কমিটি স্কুলে ভর্তির আবেদন করবেন যেভাবে - dainik shiksha স্কুলে ভর্তির আবেদন করবেন যেভাবে এইচএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের ফল বৃহস্পতিবার, জানবেন যেভাবে - dainik shiksha এইচএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের ফল বৃহস্পতিবার, জানবেন যেভাবে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু ২ জানুয়ারি - dainik shiksha অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু ২ জানুয়ারি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা - dainik shiksha গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা দপ্তরসহ সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে চালাতেন পিয়ন! - dainik shiksha দপ্তরসহ সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে চালাতেন পিয়ন! ৬১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ চূড়ান্ত! - dainik shiksha ৬১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ চূড়ান্ত! গণভবন, ভিকারুননিসার বোন ও আইডিয়ালের কলোনি কোটা বাতিল - dainik shiksha গণভবন, ভিকারুননিসার বোন ও আইডিয়ালের কলোনি কোটা বাতিল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে ভাসানী, শেরেবাংলা-সোহরাওয়ার্দীকেও জাতির পিতা করার পরামর্শ - dainik shiksha ভাসানী, শেরেবাংলা-সোহরাওয়ার্দীকেও জাতির পিতা করার পরামর্শ সমন্বয়কদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, সাবধান: সারজিস - dainik shiksha সমন্বয়কদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, সাবধান: সারজিস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0047421455383301