শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফি ৬০ শতাংশ কমানোর দাবি

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি |

আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে অনুষ্ঠিত হবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বিভিন্ন বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা। তবে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেমিস্টার ফি ৬০ শতাংশ কমানোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এতে বিশ্ববিদ্যালয় খুললে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। সেমিস্টার ফি কমানো, হল খুলে দেওয়ার বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে শাবিপ্রবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর রহমান বলেন, করোনার কারণে বিশেষ করে সাধারণ মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সংকটকালীন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সেমিস্টার এবং ক্রেডিট ফি ৬০ শতাংশ মওকুফ করা দরকার। কারণ অনেক শিক্ষার্থী এ সময় সেমিস্টার এবং ক্রেডিট ফি টাকা পরিশোধ করতে পারবেন না।

ফারহান শাহরিয়ার রাজিন অপর এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এটা অবশ্যই ভালো দিক।  কিন্তু সেমিস্টার বা ক্রেডিট ফি এর ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত এসেছে তাতে আমরা বিপদে পড়ে গিয়েছি। করোনা পরিস্থিতিতে পরিবারের খরচের পাশাপাশি দুইমাসের থাকা খাওয়াসহ পরীক্ষা ফি বাবদ প্রায় ২০ হাজার টাকা দেওয়া আমার মত অনেকের পক্ষে সম্ভব না। তাই প্রশাসনের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ’

সার্বিক বিষয়ে শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। যখন ক্যাম্পাস খুলবে তখন আমরা এর সমাধান করবো। আমি চাইলে একা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। তাই সিন্ডিকেট ও একডেমিক কাউন্সিলের আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে হবে।

আবাসিক হল খোলার ব্যাপারে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, যদি হল খুলতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমতি নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী অনুমতি দিলে আমরা হল খুলে দিতে পারি। অন্যথায় এর দায়ভার আমাদের বহন করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সেশনজট মুক্ত করতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা সঠিক সময়ে বের হয়ে কর্মস্থলে যোগদান করুক। শিক্ষার্থীরা যাতে পিছিয়ে না পড়ে সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

এদিকে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুসারে আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে করোনায় আটকে থাকা বিভিন্ন বিভাগের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশনা  দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে পরিস্থিতি বিবেচনা করে তিন ঘণ্টার পরীক্ষাগুলো দুই ঘণ্টা ও দুই ঘণ্টার পরীক্ষাগুলোকে এক ঘণ্টার মধ্যে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ষষ্ঠ-নবম শ্রেণিতে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সূচি - dainik shiksha ষষ্ঠ-নবম শ্রেণিতে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সূচি শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ অষ্টম পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষায় সরকারকে সহযোগিতা করবে ইউএনএফপিএ - dainik shiksha অষ্টম পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষায় সরকারকে সহযোগিতা করবে ইউএনএফপিএ ইসরায়েলকে বোমা পাঠানো বন্ধ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র - dainik shiksha ইসরায়েলকে বোমা পাঠানো বন্ধ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র ভুইফোঁড় শিক্ষক সমিতি নেতাদের এমপিও বাতিল হতে পারে - dainik shiksha ভুইফোঁড় শিক্ষক সমিতি নেতাদের এমপিও বাতিল হতে পারে শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের জাপান টিকিট ৩০ লাখ! - dainik shiksha ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের জাপান টিকিট ৩০ লাখ! জাল সনদধারী শিক্ষকের এমপিও বাতিল - dainik shiksha জাল সনদধারী শিক্ষকের এমপিও বাতিল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025131702423096