শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৬ অক্টোবর শনিবার অনুষ্ঠিত হবে।
এ ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ও সংশ্লিষ্টদের ভোগান্তি কমাতে ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসন।
ভর্তি জালিয়াতি ঠেকাতে হলগুলোতে মডেল টেস্ট থেকে শুরু করে সকল প্রকার ভর্তি সংশ্লিষ্ট আয়োজন নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে ২০টি বাস বরাদ্দ দিয়েছে সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি।
শনিবার সকাল ৯টায় এ ইউনিটের ও দুপুর ২টায় বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ হাজার ৭০৩টি আসনের বিপরীতে এবার আবেদন করেছে ৭০ হাজার ৫৫৪ জন শিক্ষার্থী। সে হিসেবে প্রতি আসনের বিপরীতে ৪১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ভর্তি কমিটির শৃঙ্খলা উপ-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ জানান, ভর্তি পরীক্ষা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবোর্চ্চ সর্তক অবস্থায় রয়েছে। তিনি অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদেরকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো মিথ্যা তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান।
এদিকে পরীক্ষা চলাকালে ক্যাম্পাসে কোনো ধরণের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, সভা-সমাবেশ ও মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রক্টরিয়াল বডি। কোনো ধরনের ব্যানার, পোস্টার, লিফলেট, বুকলেট ও বোর্ড কোথাও লাগানো ও বিতরণ না করার পাশাপাশি বর্তমানে বিভিন্ন সংগঠনের যেসব বুথ রয়েছে তা ভর্তি পরীক্ষার দিন পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল এবং পার্শ্ববর্তী মেসগুলোতে ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রীক মডেল টেস্ট এবং কোচিং করানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষার দিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের গাড়িব্যতীত অন্য মোটরযান প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে এবং সিলেট শহরে আসতে শুরু করেছে। তবে সিলেট শহরের হোটেল ও সিএনজি ড্রাইভারদের অতিরিক্ত ভাড়া দাবির সিন্ডিকেটের কারণে হয়রানির শিকার হচ্ছেন ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকরা।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সুবিধার্থে ২০টি বাস বরাদ্দ দিয়েছে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি।
চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব জানান, আমরা শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘবে ২০টি বাস বরাদ্দ দিয়েছি যা বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ছেড়ে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে যাবে।
এছাড়া জালিয়াতি ও ভোগান্তি ঠেকাতে কাজ করছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক উত্তর) জ্যোর্তিময় সরকার বলেন, নগরীর পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আমরা চেকপোস্ট বসাবো। এছাড়া ভর্তি জালিয়াত ঠেকাতে আমরা সদা সতর্ক রয়েছি।