পত্রিকান্তরে জানতে পারলাম, ২০১৮ সালের এসএসসি পরীক্ষা থেকে চারটি বিষয় বাদ দেওয়া হচ্ছে এবং এই চারটি বিষয় সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মূল্যায়ন করবে। প্রসঙ্গত, কৃষিশিক্ষা ও গার্হস্থ্য বিজ্ঞান পৃথক বিষয়। ছাত্রছাত্রীরা আলাদা আলাদাভাবে শিক্ষা গ্রহণ করে। অথচ শারীরিক শিক্ষা, খেলাধুলা ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান একটি সমন্বিত বিষয় এবং একসঙ্গে শিক্ষা গ্রহণ করা যায়। তাহলে শারীরিক শিক্ষা, খেলাধুলা ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বিষয়কে কেন বাদ দেওয়া হবে?
শারীরিক শিক্ষা ছাড়া শিক্ষার পূর্ণতা আসে না। যে সব গুণ থাকলে দেশের প্রতিটি নাগরিক সুস্থ, সবল, দেশপ্রেমিক ও দায়িত্বজ্ঞান সম্পন্ন হয়ে গড়ে ওঠে এবং নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়—শারীরিক শিক্ষা সেইসব গুণ অর্জনে প্রত্যক্ষ অবদান রাখে। নেতৃত্ব ও ব্যক্তিত্ব গঠনেও শারীরিক শিক্ষার অবদান অসামান্য। জানা মতে, পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই শারীরিক শিক্ষা, খেলাধুলা ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ভিন্ন ভিন্ন নামে প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত বাধ্যতামূলক। শারীরিক শিক্ষা, খেলাধুলা ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞানে শিক্ষার্থীর নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ থেকে শুরু করে ইতিহাস ও ঐতিহ্য চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিবোধ, দেশপ্রেমবোধ, প্রকৃতি-চেতনা এবং ধর্ম-বর্ণ-গোত্র ও নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার প্রতি সমমর্যাদাবোধ জাগায়।
এ অবস্থায়, সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে এসএসসি (পাবলিক পরীক্ষায়) পর্যন্ত চালু রেখে পরবর্তী পর্যায়ে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বাধ্যতামূলক করে এইচএসসি পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।