বাউল সম্রাট শাহ্ আবদুল করিমের ১০৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিকাশের পৃষ্ঠপোষকতায় তাঁর জন্মস্থান সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার উজানধল গ্রামে অনুষ্ঠিত হয় দুই দিনব্যাপী শাহ্ আবদুল করিম লোক উৎসব-২০২৩। সারাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বাউলদের মিলনমেলায় পরিণত হয় উৎসব প্রাঙ্গন। কালোত্তীর্ণ লোক গানের স্রষ্ট্রা বাউল সম্রাট শাহ্ আবদুল করিমকে গানে গানে, শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন তাঁর ভক্ত-অনুসারীরা। প্রানের টানে, গানের টানে সারাদেশ থেকে ছুটে আসেন অসংখ্য শ্রোতা। লোক গানের পাশাপাশি একুশে পদকপ্রাপ্ত এই অমর স্রষ্টাকে নিয়ে ছিলো স্মৃতিচারণও।
শাহ্ আবদুল করিম পরিষদের আয়োজনে, দেশের সবেচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের সহযোগিতায় গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় সমবেত গানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দুই দিনব্যাপী এই লোক উৎসব। শাহ্ আবদুল করিমের একমাত্র ছেলে উৎসব আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক শাহ্ নূর জালালের সভাপতিত্বে বাউল সম্রাটের স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান মামুন। এছাড়া বিকাশের রেগুলেটরি অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স বিভাগের ইভিপি হুমায়ুন কবিরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
লোক উৎসব উপলক্ষে আবদুল করিম স্মৃতি সংগ্রহশালার সামনে ও গ্রামের মাঠে মেলা বসে। উল্লেখ্য ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে গ্রামবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত হয়ে আসছে শাহ্ আবদুল করিম লোক উৎসব।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শাহ্ আবদুল করিম সাধারণের জন্য গান গাইতেন। তাঁর গানে ফুটে উঠেছে সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার কথা, আছে শোষিত, বঞ্চিত, নির্যাতিত মানুষের অধিকারের কথা, আছে প্রেম, বিরহের অনন্য উপ্যাখানও। তাঁর গানে রয়েছে নিজেকে জানার কথা ও মানুষের জন্য জীবনমুখী দিকনির্দেশনা।