দৈনিক শিক্ষাডটকম, রাজশাহী : রাজশাহীর শাহ মখদুম মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়ে ৪২ শিক্ষার্থীর চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন এখন অনিশ্চিতায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে রাজশাহীর শাহ মখদুম মেডিক্যাল কলেজের যাত্রা শুরু হয়। তবে এখনও এই প্রতিষ্ঠানটির নেই বিএমডিসির অনুমোদন। এমনকি রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদালয়েরও অধিভুক্ত নয়। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে শাহ মখদুম মেডিক্যাল কলেজে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিতের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে এরপরও ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করে প্রতিষ্ঠানটি। চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পড়ে ৪২ শিক্ষার্থী ভর্তিও হয়েছেন, যাদের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন এখন অনিশ্চিয়তার মুখে পড়েছে।
শাহ মখদুম মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়া এক ছাত্রী বলেন, ‘দীর্ঘ ১৮ মাস ক্লাস করার পরও আমরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারিনি। এই অবস্থায় একজন মেডিক্যাল স্টুডেন্ট হিসেবে আমার মানসিক অবস্থা খুবই খারাপ।’
প্রতিষ্ঠানটির আরেক ছাত্র বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ার তো শেষ। শারিরীক–মানসিক বলেন, আমাদের পুরা অবস্থা খারাপ। বাবা–মার টাকাও শেষ, আমাদের শিক্ষা জীবনও অনিশ্চয়তার মুখে।’
তবে শাহ মখদুম মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, হাইকোর্টে করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
শাহ মখদুম মেডিক্যাল কলেজ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোনিরুজ্জামান স্বাধীন বলেন, যতদিন পর্যন্ত এই মামলাটি নিষ্পত্তি না হয়, সেই দিক থেকে আমরা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়েছি।
রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদালয় রেজিস্ট্রার ডা. জাকির হোসেন খন্দকার বলেন, ‘শাহ মখদুম মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা আছে। শিক্ষা কার্যক্রম চালালে এর দায়-দায়িত্ব তাদেরই বহন করতে হবে।’
এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘ছেলে–মেয়েরা যারা ভর্তি হয়েছে তাদের কী করা যায় সে বিষয়ে এই মুহুর্তে তো আমার কিছু বলার নেই, তবে আমরা এটি নিয়ে চেষ্টা করব আপসের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা।’
এদিকে মেডিক্যাল কলেজটির পরিচালক-চেয়ারম্যানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলা করেছেন শিক্ষার্থীরা।