প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস পাওয়ার পর নিজেরা আলোচনা করে কর্মবিরতি কর্মসূচির আপাতত ইতি টেনেছেন আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে ফেডারেশনের মহাসচিব এ এস এম মাকসুদ কামাল সভার এই সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান।
মহাসচিব জানান, তাঁদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়নি। আন্দোলনেরই একটি অংশ হিসেবে চলমান আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি ফেডারেশনের পর্যালোচনা সভা হবে। সেখানে অবস্থা পর্যালোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।
নতুন বেতন স্কেলে গ্রেডের সমস্যা নিরসনের দাবিতে ফেডারেশনের ডাকে ১১ জানুয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। গতকাল সোমবার বিকেলে শিক্ষক নেতারা গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে আন্দোলনরত ৩৭টি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ ফেডারেশনের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মাকসুদ কামাল সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বের প্রতি আমরা আস্থাশীল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে চলমান মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনকে স্থগিত করেছি। প্রত্যাহার করে নিইনি।’ তিনি বলেন, কোনো কোনো আমলার কূট কৌশলের কারণে এই দাবি দাওয়া আদায়ে বিলম্ব হলে অথবা খণ্ডিতভাবে মেনে নেওয়া হলে শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন তা মেনে নেবে না। শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দকে সম্পৃক্ত করেই দাবি দাওয়াগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলেও জানান তিনি।