শিক্ষকদের আন্দোলন এবং সরকারের একগুঁয়েমি

ড. এম এম আকাশ |

pic

ইতিহাসের অনেক বড় বড় ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে ক্ষুদ্র একটি ঘটনা থেকে। পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খান ছিলেন দেশের প্রেসিডেন্ট। অফিস ছিল পশ্চিম পাকিস্তানে। সে সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্রাবাসে খাবারের ডাল পাতলা হলে স্লোগান উঠতো এভাবে— ‘হলের ডালে পানি কেন আইয়ুবশাহী জবাব চাই’। এ ব্যাপারে হয়ত প্রেসিডেন্টের সরাসরি কিছুই করার ছিল না। কিন্তু দেশের অনেক সমস্যার জন্য তিনিই দায়ী— এমন মনোভাব ক্রমে দানা বাঁধছিল এবং তারই পরিণতিতে ১৯৬৯ সালের জানুয়ারিতে ছাত্র-জনতা প্রবল ক্ষোভে ফেটে পড়ে। তাকে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়।

এ তো প্রায় পাঁচ দশক আগের কথা। এক দশকেরও কম সময় আগে ২০০৭ সালের আগস্ট মাসের কথা আমরা স্মরণ করতে পারি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে এক দর্শকের (ছাত্র) ছাতায় দৃষ্টি আটকে যায় এক সেনা সদস্যের এবং তার প্রতিক্রিয়ায় ক্যাম্পাসে থাকা আর্মি ক্যাম্পের কিছু সদস্যের আচরণকে ছাত্রছাত্রীরা মনে করেছে অন্যায়।

এ ঘটনার ধারাবাহিকতায় উদ্ভূত ঘটনাপ্রবাহের কারণে ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা হার মানতে বাধ্য হন। বাংলাদেশ ফের ফিরে যেতে পারে গণতান্ত্রিক ধারায়। এ ধরনের তুচ্ছ ঘটনা থেকে বৃহত্ ঘটনা সৃষ্টির আসল কারণ কিন্তু তুচ্ছ ঘটনাটি নয়। আসল কারণ নিহিত থাকে ইতিহাসের সঞ্চিত বারুদে। তুচ্ছ ঘটনাটি সাধারণত দেশলাইয়ের কাঠির কাজ করে। সর্বাধুনিক বিজ্ঞান শাস্ত্র এখন ‘Chaos Theory’-এর কথা বলছে। এ তত্ত্ব অনুযায়ী এমনকি ভারতবর্ষে কোনো প্রজাপতির পক্ষ স্পন্দনের কারণে আটলান্টিকের তীরের লন্ডনে ভূমিকম্প হয়ে যেতে পারে!

আমার ধারণা, বাংলাদেশ এখন কাছাকাছি ধরনের একটি সঞ্চিত বারুদের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। যে কোনো সামান্য রাজনৈতিক বিবাদ ঠিকভাবে ম্যানেজ করা না গেলে সেখান থেকে অনাহূত বড় বিপদ ঘটতে পারে। দাবানল সৃষ্টিও সম্ভব। প্রখ্যাত সৃজনশীল মার্কসবাদী তাত্ত্বিক গ্রামসির তত্ত্ব অনুযায়ী রাজনৈতিক ঘটনার ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে শাসকশ্রেণি দুই ধরনের কৌশল গ্রহণ করে থাকেন। প্রথমত বেসামরিক কৌশল। লোকসমাজের মধ্যে নানা ধরনের তত্ত্ব ও আদর্শ প্রচার করে, অর্থ ও প্রলোভন ছড়িয়ে কিংবা বুঝিয়ে-সুঝিয়ে নানা ব্যাখ্যা সাজিয়ে বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীকে শান্ত করা।

এ ধরনের খেলা বাংলাদেশে চলছে মূলত এনজিও, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম এবং সেমিনার-সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে। তবে এ কৌশল সবসময় কার্যকর নাও হতে পারে। আর তা সত্যিই যদি ব্যর্থ হয় তাহলে শাসকশ্রেণি নখ, দাঁত দেখায়। তারা বলপ্রয়োগের পথ অনুসরণ করে এবং এভাবে আধিপত্য বজায় রাখার চেষ্টা করে। দ্বিতীয় কৌশলের প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে সামরিক-বেসামরিক প্রশাসন যন্ত্র এবং কখনো কখনো অনুগত আইন-আদালত। নাগরিক সমাজের ভদ্র রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপের মাথার ওপর এই ঝুলন্ত হুমকির নাম হচ্ছে ‘ডেমোক্রেসির তরবারি’।

বাংলাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন নিয়ে বর্তমান সরকার তার কতিপয় মুখপাত্রের অবিমৃষ্যকারী আচরণের জন্য সরাসরি শিক্ষকদের মুখোমুখি অবস্থানে চলে গেছেন। এর কোনো হেতু ছিল না, এমনটিই আমার ধারণা। কারণ শিক্ষকদের দাবি খুবই সামান্য। তাদের দাবি ছিল আগের বেতন স্কেলে শিক্ষকরা যে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের সুবিধা অনেকদিন ধরে ভোগ করে আসছেন সেটা বহাল রাখতে হবে। এটা সর্বজনবিদিত যে কারো উন্নতি না হলে যত না বিক্ষোভ হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি বিক্ষোভ তৈরি হয় যদি অযাচিতভাবে হঠাত্ তাঁর স্থিতাবস্থার অবনমন হয়। অর্থনীতির তত্ত্বে এর নাম দেয়া হয়েছে “আবদ্ধতা প্রভাব” (Ratchet Effect)।

শিক্ষকরা এ ধরনের পদমর্যাদার অবদমন বিষয়ে বিক্ষুব্ধ হওয়ার পরেও নমনীয় হয়ে বলেছিলেন— সিলেকশন গ্রেড এবং টাইম স্কেল প্রথা দুটির অতীত সুবিধা বাতিল করা হলেও তাদের মূল পয়েন্ট হচ্ছে পদমর্যাদার ক্ষেত্রে সচিব এবং সিনিয়র সচিবদের গ্রেডের সমপর্যায়ে যাওয়ার একটি পথ উন্মুক্ত রাখার পয়েন্ট। কারণ টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিল হলে এ রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যায়। এ কথা সত্য যে মর্যাদা ও পদমর্যাদা এক কথা নয়। শিক্ষকদের লেগেছে তাদের মর্যাদাহানির জন্য ততটা নয় যতটা তাদের পদমর্যাদা সুযোগের অবনমনের জন্য। এই কথাটা কেন সরকার বুঝতে চাচ্ছেন না সেটাই আমার প্রশ্ন এবং বিস্ময়।

সরকার যদি তারপরও পূর্বের প্রথা দুটি বাতিল করতে চায় তাহলে শিক্ষকদের পদোন্নতির বিকল্প একটি পথ তাদেরকে দেখিয়ে দিতে হবে। হতে পারে তা নতুন ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করা। হতে পারে নতুন পৃথক বেতন স্কেল তৈরি করা, যা অনেক দেশে রয়েছে। হতে পরে শিক্ষকদের পদোন্নতির নিয়ম-কানুন ঠিক করে দিয়ে পদোন্নতির দরজা ও ধাপগুলো গ্রহণযোগ্যভাবে চিহ্নিত করে দেয়া। অথবা সবগুলোর সমন্বয়ে একটি মিশ্র সমাধানও হতে পারে। কিন্তু এসব পথ তৈরির সময় কেবল খেয়াল রাখতে হবে যাতে “আবদ্ধতা প্রভাবের” সৃষ্টি না হয়, যাতে আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক একনম্বর গ্রেডে যাওয়ার ক্ষেত্রে যতটুকু সুযোগ পেতেন (অর্থাত্ যতটুকু প্রোবাবিলিটি রক্ষিত হতো), ততটুকু যাতে নতুন পদ্ধতিতেও অক্ষুণ্ন থাকে।

এই অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত দাবির বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান গ্রহণের হেতু ছিল না। একটি সম্ভাব্য হেতু হতে পারে প্রশাসনের ক্যাডারদের উপর সরকারের বিশেষ নির্ভরতা ও পক্ষপাতিত্ব। সামরিক বাহিনী এবং পুলিশের উপর বিশেষ নির্ভরতা বা পক্ষপাতিত্ব, ইত্যাদি। সবচেয়ে আতঙ্কজনক হচ্ছে, এই দুই ধারার শীর্ষস্থানীয় অল্প কয়েকজন ব্যক্তিকে অষ্টম বেতন কাঠামোতে ড. ফরাসউদ্দিনকৃত সুপারিশের বাইরে নিয়ে এসে একটি সুপার গ্রেড তৈরি করে প্লেস করা হয়েছে। বিশেষ প্রশাসনিক ক্যাডার ও সামরিক বাহিনীর কাউকে কাউকে হঠাত্ এই বিশেষ পদমর্যাদা প্রদানের ফলে শাসকশ্রেণির ভেতরেও অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। একজন মন্ত্রী বলেছেন, তার মন্ত্রণালয়ের সুপারিশকৃত বিধান লঙ্ঘন করে অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে এ কাজ করা হয়েছে। অন্য মন্ত্রীরাও বলছেন, শিক্ষকদের এভাবে মর্যাদাহানি করায় সরকারের জন্য ক্ষতি হয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকের ভেতরের খবর জানার সুযোগ আমার নেই। সংবাদপত্র দেখে তাদের মত কেবল অনুভব করতে পারি। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে চমত্কৃত হয়েছি। তিনি বলেছেন, ‘সম্মানিত শিক্ষকরা সমাজের বিবেক। শিক্ষকদের সম্মান সবসময়ই সবার ওপরে। তাদের তুলনা কারও সঙ্গে চলে না। … আমি প্রধানমন্ত্রী হতে পারি। কিন্তু আমার শিক্ষকদের সম্মান সবার ওপরে।’

তাহলে দেখা যাচ্ছে রাজনৈতিক মহলের ভেতরেও মতভেদ রয়েছে। রাজনৈতিক মহলের কেউ কেউ সামগ্রিক বিবেচনায় যেসব রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন, নির্বাহী প্রশাসন তা লঙ্ঘন করছে বা তার সঙ্গে একমত হতে পারছে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে দেশ চালাতে হলে একইসঙ্গে সিভিল সোসাইটি বা লোকসমাজের সন্তুষ্টি ও সম্মতি আদায় করতে হবে। তাঁদের প্রচলিত মূল্যবোধকে শুধু কথায় নয় কাজেও সামনে তুলে ধরতে হবে। আবার তাকে বৈরী শক্তি মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ ও ধর্মাশ্রয়ী দলগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনে শক্তিপ্রয়োগের হাতিয়ারগুলোও অটুট রাখতে হবে। বর্তমানে চাই না চাই অন্যতম এ হাতিয়ার হচ্ছে সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসন। তার মধ্যে আবার সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছেন জেনারেল ও সচিবরা। এখন প্রধানমন্ত্রীকে ঠিক করতে হবে— শ্যাম রাখি না কূল রাখি। আমার মনে হয় বর্তমান বাংলাদেশের বাস্তবতায় জেনারেল-সচিবরাই একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ শক্তি নয়, অন্যদেরও গুরুত্ব রয়েছে। এক্ষেত্রে দ্রুতই ভারসাম্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীকেই ভেবে-চিন্তে গ্রহণ করতে হবে। আটমাস ধরে এভাবে বিষয়টি নিয়ে ইঁদুর-বিড়াল খেলা করাটা মোটেও সমীচীন হয়নি।

ইতোমধ্যেই শিক্ষকরা ১১ জানুয়ারি থেকে সব পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। একসময় মাত্র ঢাকা ও রাজশাহীর মতো কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল সরকারের নিয়ন্ত্রণে। এখন এ সংখ্যা প্রায় ৪০টি। এটাও মনে রাখা ভাল যে শিক্ষকদের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।

শিক্ষকরা ইতিমধ্যেই তাদের দাবির ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের কিছুটা সচেতন করেছেন। তাদের ক্লাসের ক্ষতি পরবর্তীতে বেশি ক্লাস নিয়ে পুষিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতিও শিক্ষকরা তাদের ছাত্রদের দিয়েছেন। আমি যতটা বুঝতে পেরেছি, ছাত্রছাত্রীদের মত প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত মূল্যবোধের অনুরূপ। তাদের ভাষায়: যারা আগামীদিনের সচিব ও জেনারেল তৈরি করবেন তাদের মর্যাদা সবসময়ই সবার ওপরে থাকা উচিত। সাধারণ দৃষ্টিতে স্রষ্টাকে সৃষ্টির ওপরেই মর্যাদা দেয়া হয়ে থাকে। তবে এরপরেও কেউ বলতে পারেন যে শিক্ষকদের মর্যাদা বাস্তবে (Naturally) সবসময়ই উপরে; সুতরাং আনুষ্ঠানিক পদমর্যাদা নিয়ে তাঁরা এত মাথা না ঘামালেও পারেন। হয়তো কারো কারো জন্য (আমি বিখ্যাত সর্বজনশ্রদ্ধেয় অধ্যাপকদের কথা বলছি যাদের কারো কারো নাম স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও তাঁর বক্তৃতায় উল্লেখ করেছেন।) তা সত্য কিন্তু সমগ্র পেশার জন্য তা বাস্তবে সত্য নয়।

আনুষ্ঠানিক মর্যাদা না থাকলে অনেক সময় বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে নানা ধরনের অনভিপ্রেত মর্যাদাহানির শিকার স্বল্পপরিচিত শিক্ষকদের হতে হয়েছে। এই সবদিক বিবেচনায় নিয়ে বলা যায় যে অনাহূতভাবে একটি রাজনৈতিক সংকট ক্রমশ পেকে উঠছে যার সুযোগ অশুভ শক্তিরাই নিতে চাইবে। এ অবস্থায় শিক্ষকদের ওপর যে কোনো ধরনের হামলা পরিস্থিতিকে অসমাধানযোগ্য দ্বন্দ্বের দিকে ঠেলে দিতে পরে। কেউ কেউ মনে করেন, আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শাসক দলের কাছাকাছি শিক্ষক সংগঠনের নেতারাই। সুতরাং তারা শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে যাবেন বা আপস করবেন। কিন্তু আমি এখনো মনে করতে চাই যে নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসাবে শিক্ষক সমিতিগুলোর এক ধরনের আপেক্ষিক স্বাধীনতার (Relative autonomy) সুযোগ রয়েছে। প্রশাসনকে হুকুম দিয়ে কাজ করানো সহজ।

রাজনৈতিক দলের ভেতরেও এক ধরনের প্রশাসনিক কর্তৃত্ব জারি আছে। কিন্তু পেশাজীবী গণসংগঠনগুলোকে সে ধরনের বশংবদ সত্তা ভাবলে কর্তৃপক্ষ ভুল করবেন। ঘটনাপ্রবাহ কীভাবে আকস্মিক আয়ত্তের বাইরে চলে যায়, সেটা লেখার শুরুতে বলেছি। এ লেখা শেষ করব একটি সতর্কবার্তা দিয়ে— ‘ভাবিয়া করিও কাজ করিয়া ভাবিও না।’

লেখক : ড. এম এম আকাশ, অর্থনীতিবিদ ও অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030791759490967