শিক্ষকদের ইটিআইএফ তথ্য সংশোধনের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

শিক্ষকদের ইটিআইএফ সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা বোর্ড। প্রধান পরীক্ষক হওয়ার জন্য অনেক শিক্ষক মাস্টার ট্রেইনার না হয়েও ইটিআইএফের ডাটায় মিথ্যা তথ্য দিচ্ছেন। তাই মিথ্যে তথ্য দেওয়া শিক্ষকদের ইটিআইএফ ডাটা সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা বোর্ড। একইসাথে শিক্ষকদের শিক্ষা জীবনে অর্জিত ফলের তথ্যও অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়েছে। আর স্কুল কলেজের সব শিক্ষকদের ইটিআইএফ পূরণ করে অনলাইনে তথ্য দিতে বলা হয়েছে বোর্ডের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানদের। বোর্ড বলছে, পরীক্ষা সংক্রান্ত গোপনীয় কাজের জন্য ইটিআইএফ পূরণ করতে বলা হয়েছে। সব শিক্ষকের তথ্য না পাঠালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্যানেল বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে বোর্ড।

বুধবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা বোর্ড থেকে জারি করা এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এতে ইটিএফ পূরণের বিস্তারিত প্রক্রিয়াও বর্ণনা করেছে বোর্ড।

নির্দেশনায় বোর্ড বলছে, প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ কর্মরত সকল শিক্ষকদের পরীক্ষা সংক্রান্ত গোপনীয় কাজ সম্পাদনের লক্ষ্যে ইটিএফ পূরণ নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে অনুরোধ করা হল। প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ কর্মরত সব শিক্ষকদের ইটিআইএফ পূরণে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্যানেল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বোর্ড জানিয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে প্রধান পরীক্ষক হওয়ার জন্য অনেক শিক্ষক মাস্টার ট্রেইনার না হওয়া সত্ত্বেও ইটিআইএফের ডাটায় মাস্টার ট্রেইনারের কলাম এন্ট্রি করেছেন, যা গর্হিত অপরাধ। সুতরাং যারা প্রকৃত পক্ষে মাস্টার ট্রেইনার নন তারা অনতিবিলম্বে ইটিআইএফের ডাটা থেকে মাস্টার ট্রেইনার কলাম সংশোধন করুন, নতুবা এরূপ প্রতারণামূলক তথ্যের জন্য আপনার বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং প্রতিষ্ঠান প্রধান সত্যায়নকারী হওয়ায় তিনিও দায় এড়াতে পারবেন না। কারণ প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রতিটি শিক্ষকের তথ্য অনুমোদনকারী।

বোর্ড আরও বলেছে, অনেক শিক্ষক তাদের ব্যক্তিগত রেজাল্ট নির্দিষ্ট কলামে এন্ট্রি না করে ফাকা রাখেন। অথচ, প্রধান পরীক্ষক, পরীক্ষক হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত রেজাল্টের সুনির্দিষ্ট পয়েন্ট রয়েছে। তাই শিক্ষকদের এসএসসি, এইচএসসি, বিএ, বিএসসি, অনার্স, মাস্টার্স, বিএড, এমএড, পিএইচডি ইত্যাদী তথ্য দ্রুত ওই কলামে এন্ট্রি করতে বলেছে বোর্ড।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ইটিআইএফে যোগদানের তারিখের ( First Joining) ক্ষেত্রে অনেকে তাঁর বর্তমান স্কুল বা কলেজে যোগদানের তারিখ দিয়ে থাকেন। এ কারণে তার শিক্ষকতার প্রকৃত অভিজ্ঞতার চিত্র এ পাওয়া যাচ্ছে না। একজন শিক্ষক একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০ বছর কর্মরত ছিলেন, পরবর্তীতে বর্তমান প্রতিষ্ঠানে ৫ বছর কর্মরত আছেন তাহলে তার অভিজ্ঞতা হবে ১৫ বছর। এ ক্ষেত্রে বর্তমান স্কুল বা কলেজে যোগদানের তারিখ দিয়ে ডাটা এন্ট্রি করলে অভিজ্ঞতা ৫ বছর বিবেচনায় আসবে। সুতরাং তাঁর যোগদানের তারিখ হবে ১ম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগদানের তারিখ। প্রতি বছর সার্ভিসের জন্য আলাদা পয়েন্ট রয়েছে।

বোর্ড আরও জানিয়েছে, শিক্ষকদের ডাটা পূরণের সময় অবশ্যই সোনালী ব্যাংকের (১৩ ডিজিটের) হিসাব নম্বর প্রদান করতে হবে। খন্ডকালীন, অনিয়মিত এবং অক্ষম ও গুরুতর অসুস্থ শিক্ষকদের তথ্য ইটিআইএফে পূরণ করা যাবে না। যে শিক্ষক যে বিষয়ে পাঠদান করেন শুধুমাত্র সে বিষয়ই সিলেক্ট করতে পারবেন, অন্যথায় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। কলেজের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র যে বিষয়ে অনার্স, মাস্টার্স করেছেন সে বিষয়ই সিলেক্টট করতে পারবেন। শিক্ষকদের সকল সনদ, নিয়োগপত্র ইত্যাদি তথ্য প্রমাণাদি প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে সংরক্ষণ করতে হবে; প্রয়োজনে বোর্ড সেগুলো তদন্ত করবে। কোন তথ্য গোপন বা অসত্য তথ্য সংযোজন করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষা ডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিকে মর্নিং স্কুল, খোলার প্রজ্ঞাপন জারি - dainik shiksha রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিকে মর্নিং স্কুল, খোলার প্রজ্ঞাপন জারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে - dainik shiksha প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের গরমে কলেজে কোচিং, দুদিনে অসুস্থ ৮ ছাত্রী - dainik shiksha গরমে কলেজে কোচিং, দুদিনে অসুস্থ ৮ ছাত্রী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে নিবন্ধিত শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসির নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha নিবন্ধিত শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসির নতুন নির্দেশনা দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে জাল সনদে চাকরি করছে কয়েক হাজার হেলথ টেকনোলজিস্ট - dainik shiksha জাল সনদে চাকরি করছে কয়েক হাজার হেলথ টেকনোলজিস্ট ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক নেতা কাওছার শেখ - dainik shiksha আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক নেতা কাওছার শেখ please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.002830982208252