দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ ও হয়রানি বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সনাতন অধিকার মঞ্চ (এসআরএম)। সংগঠনটির পক্ষ থেকে শিক্ষক হয়রানির সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, চলমান সহিংসতা বন্ধ ও দুর্গাপূজায় তিন দিনের সরকারি ছুটিসহ ৮ দফা দাবি তুলে ধরে তা বাস্তবানের আহ্বান জানানো হয়েছে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়। সনাতন অধিকার মঞ্চের উপদেষ্টা অধ্যাপক অশোক তরুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের সভাপতি দিপঙ্কর শিকদার দিপু ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুমন রায়, শারদাঞ্জলি ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতি রতন চন্দ্র পাল, মাইনরিটি জনতা পার্টির সভাপতি শ্যামল রায়, হলি ফ্যামিলি রোড ক্রিসেন্ট নার্সিং কলেজের সহকারী অধ্যাপক সোনালী রানী দাস (জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য ও লাঞ্ছনার শিকার), ভক্তসংঘ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অনীল পাল, খুলনার কয়রা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আদ্রীশ আদিত্য মণ্ডল (জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য ও লাঞ্ছনার শিকার), বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভাকেট জিতেন্দ্র বর্মণ, সচেতন হিন্দু পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রভাস তন্ত্রী, বাংলাদেশ সনাতন পার্টির সহসভাপতি ডা. বাসুদেব রায় চন্দন, সনাতন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের মোহন সরকার, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দুলাল সরকার, বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের রাজশাহী বিভাগের সাধারণ সম্পাদক মিঠু সাহা প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘আমরা আন্দোলন করতে চাই না, আমরা অধিকার চাই। আমরা নিরাপত্তার সঙ্গে এ দেশে বসবাস করতে চাই। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যখন আমরা সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে আন্দোলন করেছি, তখন আমাদের জামায়াত-বিএনপির এজেন্ট বলা হয়েছে। আর এখন সংখ্যালঘুদের নির্যাতন নিয়ে আন্দোলন করলে আওয়ামী লীগের এজেন্ট ও ভারতের দালাল বলা হচ্ছে।
আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, আমরা কারো দালালি করিনি এবং করতে চাই না। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে সংবিধান নির্দেশিত অধিকার চাই। সে জন্য অনতিবিলম্বে সনাতনী সম্প্রদায়ের যৌক্তিক দাবি ৮ দফা পূরণ করতে হবে।’
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, অতিদ্রুত চলমান সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধ ও জাতিসংঘের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন গঠন করে প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
একই সঙ্গে ওই সব ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন করতে হবে। আসন্ন দুর্গাপূজা নিরাপদে আয়োজনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।