শিক্ষকদের দাবি দ্রুত মেনে নিন : সিপিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক |

এমপিওর দাবিতে আন্দোলনে থাকা শিক্ষকদের দাবি দ্রুত মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, শিক্ষকরা যদি আমরণ অনশন না ভাঙ্গেন তবে এটা পুরো জাতির জন্য লজ্জার। এ লজ্জায় আমাদের ফেলবেন না।

সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ব্যানারে এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষকদের আমরণ অনশন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে তিনি এসব কথা। একই সময় সংহতি প্রকাশ করে আন্দোলনে অংশ নেন বারডেম হাসপাতালের অধ্যাপক এম এ সাঈদ।

রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, সরকারের আশ্বাসে নয়, কার্যকরী সিদ্ধান্তে বিশ্বাস করে শিক্ষকরা। তাদের আশায় রেখে আর টালবাহানা করবেন না।

সিপিবি নেতা আর বলেছন,একজন শিক্ষক ১২-২০ বছর বেতন পান না। এটা আমাদের জন্য যন্ত্রণার। কষ্টের। সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের লজ্জা থাকা দরকার।

তিনি বলেন, দেশে ৭ হাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারই অনুমোদন দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দিতে পারেন, শিক্ষক-কর্মচারিদের বেতন দিতে পারেন না কেন? যারা মানুষ গড়ার কারিগর তারা আজ বেতনের জন্য রাজধানীতে কেন? আপনারাও তো (অর্থমন্ত্রী-শিক্ষামন্ত্রী) শিক্ষকেরই ছাত্র? নাকি স্ব-শিক্ষায় মানুষ হয়েছেন’?

‘যারা মানুষ গড়ার কারিগর, যাদের শিক্ষা অর্থমন্ত্রী-শিক্ষামন্ত্রীও নিয়েছেন সেই শিক্ষকরা আজ অভুক্ত। বিনা বেতনে তারা শিক্ষা দিচ্ছেন। নিজেদের দাবি-দাওয়ার পূরণের জন্য রাজধানীতে আসছেন। আমরণ অনশনে নেমেছেন। এসব দেখেও কি অর্থমন্ত্রী-শিক্ষামন্ত্রীর লজ্জা হয় না’?

গত ৭ দিন ধরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে এমপিওভুক্তির দাবি আদায়ে আন্দোলন করে আসছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা। গত রোববার থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচিতে নেমেছেন তারা। আজ আমরণ অনশনের দ্বিতীয় দিন।

আমরণ অনশনে সংহতি প্রকাশ করতে আসা বারডেম হাসপাতালের অধ্যাপক এম এ সাঈদ বলেন, ‘আমিও শিক্ষক। আমি ডাক্তার হতে আসা ছাত্রদের পড়াই। কিন্তু ওদের এ পর্যন্ত আসার জন্য এই স্কুল শিক্ষকদের মহান দায়িত্ব ছিল। তাদের কারণেই আমরা এ পর্যায়ে। তাদের অভুক্ত রেখে জাতি গঠন সম্ভব নয়।

সরকারের কাছে উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষকরা দাবি আদায়ে আমরণ অনশন শুরু করেছেন; তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। তাদের দ্রুত দাবি পূরণ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে নিন। অন্যথায় এখানে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়বেন।

শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, টানা ৭ দিন আন্দোলন চালিয়ে গেলেও আমাদের কেউ আশ্বাস দেয়নি। অনেকে অসুস্থ হয়েছেন। সবাই অর্ধাহার-অনাহারে দিন পার করছেন। সরকার আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024158954620361