শিক্ষকতা শুধুই পেশা নয়, একটি মহান ব্রত। শিক্ষক শব্দটির সঙ্গে জ্ঞান, দক্ষতা, সততা, আদর্শ, মূল্যবোধ শব্দগুলো ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একজন শিক্ষক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে শিক্ষার্থীর চরিত্র গঠনে ভূমিকা রাখেন। কথাগুলো সর্বজনস্বীকৃত ও বহুল ব্যবহৃত। একজন শিক্ষক কখন শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, এর উত্তরে অনেক ভিন্নতা আসাই স্বাভাবিক; কিন্তু শিক্ষক হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত জ্ঞান আহরণে তিনি কার্পণ্য করেননি, এটি সদা সত্য। শিক্ষকরাও এ সমাজেরই মানুষ, সুতরাং কিছু সীমাবদ্ধতা থাকাটাই স্বাভাবিক। শনিবার (৫ অক্টোবর) যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।
আরও দেখুন: বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন শুরু হলো যেভাবে (ভিডিও)
নিবন্ধে আরও বলা হয় বৈশ্বিক পরিবর্তনের যুগে নতুন নতুন তত্ত্বের উদ্ভব ও তথ্যের অবাধ প্রবাহে সর্বজনস্বীকৃত ও বহুল প্রচলিত ধ্যানধারণায়ও কিছু কিছু পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে। সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জ্ঞান অর্থনীতির (Knowledge Economy) প্রসার ও প্রজন্মের পার্থক্য পুরনো চিন্তাচেতনা ও মূল্যবোধেও কিছুটা আঘাত হানছে। শিক্ষকতা ব্রত বা পেশাটিও প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে। পেশাগত অর্থনৈতিক বৈষম্যও প্রশ্নের একটি বড় উপাদান হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। শিক্ষকরা সবসময়ই শিক্ষক, আমাদের দেশে শিক্ষকের কর্তব্য পালনের কোনো নির্দিষ্ট সময়কাল নেই, শিক্ষকগণ ২৪ ঘণ্টাই শিক্ষক, ৩৬৫ দিনই শিক্ষক। সরল অঙ্কে এ সত্যটি বোঝা কষ্টকর হতেই পারে, কিন্তু এটিই সত্য। নগণ্যসংখ্যক শিক্ষকের সঙ্গে অনেকেই এ সত্যটি অনুধাবন করতে চায় না; ফলে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। শতভাগ সাফল্য সবারই প্রত্যাশা; কিন্তু সবসময় আসে না।
শিক্ষক দিবসে আমি আমার সব শিক্ষকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, যারা আমার শিক্ষাজীবনের সিঁড়ির ভূমিকা পালন করেছেন এবং অদ্যাবধি আমাকে অনুপ্রাণিত করছেন। আমি শ্রদ্ধা জানাই দেশের সব স্তরের শিক্ষকদের প্রতি, যারা অনেক সীমাবদ্ধতার মাঝেও জাতির ভবিষ্যতের মজবুত ভিত্তি গঠনে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
ড. মো. আশরাফুল ইসলাম খান : সাধারণ সম্পাদক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি; প্রফেসর, পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগ, রাবি।