শিক্ষকদের বেতন আটকে সর্বজনীন পেনশন যোগ দিতে চাপের অভিযোগ

দৈনিক শিক্ষাডটকম, সোনাতলা (বগুড়া) |

দৈনিক শিক্ষাডটকম, সোনাতলা (বগুড়া): বগুড়ার সোনাতলা  উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভূক্ত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। এতে করে শিক্ষকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় পেনশন স্কিমে শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তকরণ বাধ্যতামূলক করা না হলেও সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছে শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করতে চিঠি দেন। এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে নানা কল্পনা জল্পনা এবং গুঞ্জন শুরু হয়।

এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলার ইউনাইটেড উচ্চ বিদ্যালয়, বয়ড়া কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজ, বয়ড়া টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ, হরিখালী টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ, বয়ড়া দাখিল মাদনাসা, শালিখা উচ্চ বিদ্যালয়, আদর্শ টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ, বাগবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়সহ ৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতিসহ পদাধিকার বলে সরকারি বিলে অনুস্বাক্ষর করেন। 

এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষক পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার অজুহাতে সেই সরকারি বিলে স্বাক্ষর করেননি। 

এ বিষয়ে সাহারুল ইসলাম নামের একজন শিক্ষক বলেন, মাস শেষে বেতন তুলে ব্যাংকের ডিপিএস, ঋণের কিস্তি পরিশোধের পর অবশিষ্ট টাকা দিয়ে দ্রব্যমূল্যের বাজারে পরিবার পরিজন নিয়ে দিনাতিপাত করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। 

এমনটি অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পত্র দিয়ে আমাদেরকে সর্বজনীন পেনশন স্কীমে অন্তর্ভূক্ত হওয়ার বিষয়টি আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন। আমাদের প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষক পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় সরকারি বিলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুস্বাক্ষর করেননি। 

এ বিষয়ে ইউনাইটেড উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক বদিউদ-জ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গত ৯ মে তাদের প্রতিষ্ঠানের বিল স্বাক্ষরের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে জমা করা হলেও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক পেনশন স্কীমে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিলটি স্বাক্ষর করেননি। 

একই অভিযোগ আরো ৮টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের। ওই ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় শতাধিক শিক্ষক বেতন ভাতা তুলতে না পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করে যাচ্ছেন। এদিকে এ নিয়ে শিক্ষকদের মাঝে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা শারমিন বলেন, শিক্ষকরা আমার কথা রাখেননি। তাই আমি সরকারি বিলে স্বাক্ষর করিনি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ডিআইএর নতুন পরিচালক অধ্যাপক আবু কাইয়ুম - dainik shiksha ডিআইএর নতুন পরিচালক অধ্যাপক আবু কাইয়ুম জাতীয়করণসহ তিন দাবিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরিদের অবস্থান - dainik shiksha জাতীয়করণসহ তিন দাবিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরিদের অবস্থান এমপিওর দাবিতে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শিক্ষকদের পদযাত্রা - dainik shiksha এমপিওর দাবিতে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শিক্ষকদের পদযাত্রা কারিগরিতে ৪০ শতাংশ নম্বরে উপবৃত্তি - dainik shiksha কারিগরিতে ৪০ শতাংশ নম্বরে উপবৃত্তি কাউকে হেনস্তা না করার আহ্বান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের - dainik shiksha কাউকে হেনস্তা না করার আহ্বান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের আটকের পর বিজিবিকে যে প্রলোভন দেখান বিচারপতি মানিক - dainik shiksha আটকের পর বিজিবিকে যে প্রলোভন দেখান বিচারপতি মানিক নয় বছরের শিক্ষিকাকে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হতে বললেন প্রধান শিক্ষক - dainik shiksha নয় বছরের শিক্ষিকাকে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হতে বললেন প্রধান শিক্ষক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0048370361328125