শিক্ষকদের রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি

ড. মইনুল ইসলাম |

বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পেশা নির্বাচনে পাকিস্তান আমল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়ার বিষয়টি সামাজিকভাবে স্বীকৃত রীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতাকে মেধাবীদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত পেশা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় হলো নতুন জ্ঞান সৃষ্টির আলয়। অতএব, জ্ঞান অর্জনের সর্বশেষ ধাপে গবেষণার মাধ্যমে মানবজাতির জন্য নতুন জ্ঞান সৃষ্টির দায়িত্বটি সব দেশেই মেধাবী সন্তানদের ওপর অর্পণের রীতি চালু রয়েছে। মেধাবীরা যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় আকৃষ্ট হন এবং নির্বিঘ্নে তাঁদের শিক্ষকতা ও গবেষণায় নিয়োজিত থাকতে পারেন, সে জন্য উন্নত ও উন্নয়নশীল প্রায় সব দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সরকারের হস্তক্ষেপ ও রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি থেকে মুক্ত রাখা হয়।

একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা যাতে সচ্ছলতা ও স্বাচ্ছন্দ্যের মধ্যে সপরিবার জীবন নির্বাহ করতে পারেন, তারও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সাধ্যমতো সচেষ্ট থাকে বিশ্বের প্রায় সব দেশ। খুব লোভনীয় আর্থিক বেতন-ভাতা দিতে সমর্থ না হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কোনো সভ্য দেশে অবমূল্যায়ন করা হয় না। একজন শিক্ষক নিজের রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে চলবেন, প্রয়োজনে জাতির স্বার্থে যেকোনো রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করবেন, কিন্তু শিক্ষকতা, প্রকাশনা, গবেষণা ও সভা-সেমিনারই তাঁর প্রথম অগ্রাধিকার থাকবে।

এই স্বীকৃত রীতির ন্যক্কারজনক ব্যতিক্রমটি পরিলক্ষিত হয়েছিল আমলাতান্ত্রিক রাষ্ট্র পাকিস্তানের সমরপ্রভুদের রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থ করার প্রয়োজনে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার সুপরিকল্পিত চাণক্যনীতির ধারাবাহিকতায়। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে পাকিস্তানের জন্মের পর, বিশেষ করে বিংশ শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকের শেষার্ধে পাকিস্তান রাষ্ট্রটির ওপর সামরিক কর্তৃপক্ষ ও সিভিল আমলাতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ বাড়তে থাকে। এসব সত্ত্বেও ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের প্রথম ভাষা আন্দোলন ও ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে শহীদের রক্তরঞ্জিত ভাষাসংগ্রাম, ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের ভূমিধস বিজয়, ১৯৫৬-৫৮ খ্রিস্টাব্দে গণতন্ত্রের সংগ্রাম, ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দের শিক্ষা আন্দোলন, ষাটের দশকে পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক বঞ্চনা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে জোরদার স্বায়ত্তশাসনের সংগ্রাম ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম—প্রতিটি ঐতিহাসিক মুহূর্তে পূর্ব পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, বিশেষত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীরা নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রাখেন। এসব কারণে পাকিস্তানের সামরিক কর্তৃপক্ষ পূর্ব পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ‘এক নম্বর শত্রু’ হিসেবে চিহ্নিত করে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের একাংশ প্রতিযোগিতামূলক সিএসএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মর্যাদাবান সিএসপি বা অন্যান্য ক্যাডারের পেশা বেছে নিলেও শিক্ষকদের সিংহভাগ পাকিস্তানের পুরো ২৪ বছর শাসকদের বিরুদ্ধে সাহসী ও সোচ্চার ভূমিকা রেখেছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের প্রতিরোধ সংগ্রামের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের সংগ্রামকে ধাপে ধাপে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে রূপান্তরিত করেছিলেন। ষাটের দশকে সামরিক শাসক আইয়ুব খানের তল্পিবাহী বিশ্ববিদ্যালয়-শিক্ষকদের প্ররোচনায় একটি মাস্তান বাহিনী গড়ে তোলার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। গভর্নর মোনেম খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ওসমান গনি এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব গ্রহণ করেন, যার ফলে শিক্ষকদের একটি ÿক্ষুদ্রাংশ আইয়ুব-মোনেম ও সামরিক এস্টাবলিশমেন্টের দালালিতে মেতে ওঠে এবং ছাত্রদের মধ্য থেকে কুখ্যাত এনএসএফ পেশিশক্তি ও মাস্তানির মাধ্যমে ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দখলদারি জারি রাখে। ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে প্রগতিশীল শিক্ষক ও খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ ড. আবু মাহমুদের এনএসএফের মাস্তানদের হাতে শারীরিকভাবে নিগৃহীত হওয়ার ঘটনাটি এই মাস্তানতন্ত্রের ঘৃণ্য নজির হয়ে আছে। ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে যখন আমি কুমিল্লা বোর্ড থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হই, তখন কলেজজীবন থেকেই ছাত্রলীগের একজন মাঠপর্যায়ের সক্রিয় কর্মী হওয়ার অপরাধে সরাসরি এনএসএফের লক্ষ্যবস্তুতে (টার্গেটে) পরিণত হয়েছিলাম। ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে এনএসএফের দুর্ধর্ষ দুই মাস্তানের একজন ‘পাসপাত্তু’ খুন হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর যখন ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারিতে খুলেছিল, তখন গণ-অভ্যুত্থানের টালমাটাল জোয়ারে ছাত্ররাজনীতির ভারসাম্য পাল্টে যায়। ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন তখন গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী প্রবল জনপ্রিয় ছাত্রসংগঠন, এনএসএফের মাস্তানেরা পালিয়ে পগার পার। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের মার্চ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের যুগপৎ আলাকবর্তিকা, আর আমরা ছিলাম সেই সংগ্রামের অগ্রসেনানী। সে জন্যই ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ২৫ মার্চের কালরাতে ‘অপারেশন সার্চলাইটের’ প্রধান টার্গেট হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা।

কিন্তু ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে যোগদানের তারিখেই আমি শপথ নিয়েছিলাম, যত দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করব, তত দিন দলীয় রাজনীতি করব না। আমার যুক্তি ছিল: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষকতা, গবেষণা, প্রকাশনা ও সভা-সেমিনারের বক্তব্যে শুধু বিবেকের দ্বারাই পরিচালিত হবেন, কোনো রাজনৈতিক দল বা বিশেষ গোষ্ঠীকে তুষ্ট করা তাঁর জন্য অবমাননাকর। আমার সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক মতাদর্শ আছে, যা থেকে গত ৪৫ বছরে আমি একচুলও বিচ্যুত হইনি। আমি তিনবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সদস্য নির্বাচিত হয়েছি, ১২ বছর সিনেটের সদস্য ছিলাম, ৩৬ বছর বয়সে ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে শিক্ষক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি। ওই বছর আমাকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব নির্বাচিত করা হয়েছে। আমাদের নেতৃত্বে ৪২ দিনের শিক্ষক ধর্মঘটের পরিপ্রেক্ষিতেই বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ ৬৫ বছরে উন্নীত হয়েছিল। কিন্তু এসব আন্দোলন-সংগ্রাম কখনোই শিক্ষকের মূল দায়িত্ব থেকে আমাকে বিচ্যুত করতে পারেনি। আমি ৪৫ বছরের শিক্ষকতা জীবনে কখনোই ক্লাসে যেতে বিলম্ব করিনি, নোটিশ না দিয়ে কিংবা আগেভাগে না জানিয়ে ক্লাসে অনুপস্থিত থাকিনি, পরীক্ষার প্রশ্ন বা খাতা দেখে ফেরত দিতে বিলম্ব করিনি। বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা আমাকে প্রাণভরা ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় সিক্ত করেছে। এই ৪৫ বছর আমার গবেষণায় কখনো শিথিলতা আসতে দিইনি। অথচ জীবনে আমি কখনো পরামর্শকের কাজ (কনসালটেন্সি) করিনি। কারণ, আমি কোনো দাতা সংস্থাকে আমার গবেষণার বিষয়ে নির্দেশনা দিতে দিইনি।

আমি বিশ্বাস করি, কোনো সরকারি পদের জন্য তদবির করা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে মানায় না, রাষ্ট্রের নীতিপ্রণেতারা যদি কোনো শিক্ষকের বিশেষ জ্ঞান ও দক্ষতা অপরিহার্য মনে করেন, তাহলে তাঁরা নিজেরাই ওই শিক্ষককে অনুরোধ করে যথাযোগ্য পদে যোগদানে রাজি করাবেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-উত্তর প্রথম সরকারের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগে জাতির পিতার সৃষ্ট নজিরটি আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর মোজাফফর আহমদ চৌধুরী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর খান সরওয়ার মুরশিদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর আবুল ফজল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ড. মুহম্মদ এনামুল হক এবং প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ড. রশীদকে বহু সাধ্যসাধনা করে উপাচার্য হতে রাজি করিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তী সময়েও যাঁরা তাঁর আমলে উপাচার্য হয়েছিলেন, তাঁরা সবাই তাঁদের পাণ্ডিত্যের জন্য সুপরিচিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান করেছিলেন দেশের খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ প্রফেসর নূরুল ইসলামকে, কমিশনের সদস্য করেছিলেন প্রফেসর মোশাররফ হোসেন, প্রফেসর রেহমান সোবহান ও প্রফেসর আনিসুর রহমানকে।

১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত যখন সামরিক শাসকেরা ক্ষমতাসীন ছিলেন, তখন শাসকদের দালালি করতে উন্মুখ শিক্ষকেরা কিছুটা রাখঢাক করতেন, কিছুটা দ্বিধান্বিত থাকতেন লোকলজ্জার ভয়ে। কিন্তু ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে খালেদা জিয়া ক্ষমতাসীন হওয়ার পর ২৭ বছর ধরে ভোটের গণতন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন সরকারগুলোর সময় কিছু শিক্ষকের কাছে দলীয় রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি ও নানান পদের জন্য তদবির হয়ে গেছে প্রধান ধান্দা। এখন কি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দাবি করতে পারবেন যে সরকার তাঁর পাণ্ডিত্যের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে উপাচার্য নিয়োগ করেছে? সে জন্যই আমি প্রশ্ন রাখছি, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তিই কি চেয়েছিলাম আমরা?

 

লেখক: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক

 

সূত্র: প্রথম আলো


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি: শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি: শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় - dainik shiksha অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা হবে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা হবে: শিক্ষামন্ত্রী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত - dainik shiksha জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত হিটস্ট্রোকে সাতক্ষীরায় শিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে সাতক্ষীরায় শিক্ষকের মৃত্যু হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয় - dainik shiksha হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয় দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ করতে শিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশ - dainik shiksha চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ করতে শিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশ শিক্ষিকার উত্যক্তকারীকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ - dainik shiksha শিক্ষিকার উত্যক্তকারীকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ সর্বজনীন পেনশনে অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক সমিতির কর্মসূচি - dainik shiksha সর্বজনীন পেনশনে অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক সমিতির কর্মসূচি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0023880004882812