শিক্ষকের ওপর হামলার বিচার দাবি

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি |

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর সরকারি মডেল পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক ফররুখ আহমেদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলা তুলে নিতে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগও করেছেন তিনি। এমনকি প্রভাবশালীদের চাপে মামলার মূল আসামি আবদুল গাফফার সম্রাটের নাম অভিযোগ থেকে বাদ দেয়ার পায়তারা চলছে বলেও জানান। এ ঘটনায় আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে সোমবার (১ মে) ওই স্কুলের ২৩ জন শিক্ষক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ইউএনও মাধ্যমে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মঙ্গলবার (১ জুন) হোসেনপুর সরকারি মডেল পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী শিক্ষক জানান, গত ২১ মে (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টার দিকে জিনারী ইউনিয়নের হোগলা কান্দি গ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা বেলায়েত হোসেন মৃধা হত্যা মামলার আসামি আবু মুসা ও আবদুল গাফফার সম্রাটসহ কয়েকজন একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথমে আমার বড় ভাই হবিগঞ্জ জেলার ধলা বামকান্দি পাঁচ গ্রাম উচ্চ বিদ্যারয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. রেজাউল করিম মোজ্জামেলের উপর হামলা চালায়। আমি বিষয়টি জানার জন্য এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার উপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে আমার ভাই ও নিকট আত্মীয়রা এগিয়ে এলে ওই সন্ত্রাসীরা সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের সবার ওপর হামলা চালায় ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় আমরা প্রাণে বেঁচে যাই। আহতদের স্থানীয় হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। যা মামলার বিবরণে উল্লেখ রয়েছে। 

তিনি সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, বর্তমানে ওই চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা মামলা তুলে নিতে হত্যার হুমকিসহ নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করছে। ফলে আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যরা ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। এছাড়া গত মে হোসেনপুর থানায় মামলা রেকর্ড করা হলেও অদ্যাবধি এই মামলার কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তাই ভয়ে এক রকম গৃহবন্দি অবস্থায় কাটাতে হচ্ছে পুরো পরিবারকে। 

হোসেনপুর সরকারি মডেল পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এ এস এম জহির রায়হান হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করে বলেন, ঘটনার ১২ দিন পার হলেও এখনও কোনো আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, শিক্ষার্থীরা ফোন করে নিরীহ শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষিপ্ত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন। 

মামলা হওয়ার ১২ দিন পরও আসামি গ্রেফতার না হওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোস্তাফিজুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, আসামিরা পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আসামিদের ধরতে একাধিকবার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024847984313965