রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় ক্লোজিংয়ের নামে খরচের কথা বলে শিক্ষকদের কাছে ঘুষ দাবি করা হচ্ছে বলে শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরা খাতুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর নিয়মিত সংস্কার, প্রাক-প্রাথমিক উপকরণ কেনাকাটা, আনুষঙ্গিক মেরামতসহ বিভিন্ন খাতের প্রায় তিন কোটি টাকা নিয়মবহির্ভূতভাবে তাঁর নিজের অ্যাকাউন্টে জমা রেখেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, এ উপজেলায় ২১৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রায় তিন কোটি টাকার ওপরে বিল ভাউচার করে শিক্ষা কর্মকর্তার এসটিডি অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়। এখান থেকে টাকা নিজ নিজ স্কুলের শিক্ষকদের অ্যাকাউন্টে ৩০ জুনের মধ্যে জমা হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। এতে টাকা তুলতে গিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়ছেন শিক্ষকরা। তাঁদের অযথা হয়রানি ও উৎকাচের নামে টাকাও দাবি করা হচ্ছে বলে জানান তাঁরা।
জানতে চাইলে শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরা খাতুন শিক্ষকদের কাছে উৎকাচ দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, শিক্ষকরা কাজ না করেই বিল দাবি করছেন। উপজেলা শিক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক টাকাগুলো অফিসের অ্যাকাউন্টে রাখা আছে বলেও জানান তিনি।