শিক্ষকের পা ধুয়ে দিলেন ঢাবি শিক্ষক

ঢাবি প্রতিনিধি |

বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শিক্ষকের প্রতি মাহাত্ম্য প্রকাশে নিজ হাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এম অহিদুজ্জামান চাঁন এবং ইনস্টিটউটের পরিচালক ড. আব্দুল হালিমের পা ধুয়ে দিয়েছেন ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ সাদেক। আশরাফ সাদেক অধ্যাপক অহিদুজ্জামানের ছাত্র ছিলেন। 

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের মিলনায়তনে শিক্ষক দিবস উপলক্ষে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত আলোচনা সভায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান, বাদশা আলমগীর তার সন্তানকে নিজ হাতে শিক্ষকের পা ধুয়ে দেয়ার উপদেশ দিয়েছিলেন। সে ঐতিহাসিক ঘটনা স্মরণ করেন সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ সাদেক। এরপর তিনি টিস্যুতে পানি লাগিয়ে নিজ হাতে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল হালিম এবং অধ্যাপক অহিদুজ্জামানের পা ধুয়ে দেন তিনি। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল হালিম। অধ্যাপক অহিদুজ্জামান অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক খাইরুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক মাহবুব মোর্শেদ, অসীম দাস, শেখ তাহমিনা আউয়াল, প্রভাষক রাহুল চন্দ্র সাহা, রোবেল আহমেদ ও আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অনেকে। 

অধ্যাপক ড. আব্দুল হালিম বলেন, শিক্ষকদের প্রধান কাজ শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দেয়া। এ কাজটা শিক্ষকরা বিভিন্ন উপায়ে করে থাকেন। কাউকে শাসন করলেও তার মধ্যে অনুপ্রেরণা থাকে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সমাজে শিক্ষকদের মর্যাদা হওয়া উচিত ছিল সবার ওপরে। কিন্তু আমরা আজও শিক্ষকদের সেই কাঙ্খিত মর্যাদা দিতে পারি না। তাই জাতি গঠনের প্রয়োজনেই শিক্ষকদের যথাযথ মর্যাদা প্রদান করতে হবে।

 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে শিক্ষকদের বেতন সভাপতির একক স্বাক্ষরে - dainik shiksha অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে শিক্ষকদের বেতন সভাপতির একক স্বাক্ষরে জোর করে পদত্যাগ, ভালো নেই স্ট্রোক করা সেই অধ্যক্ষ - dainik shiksha জোর করে পদত্যাগ, ভালো নেই স্ট্রোক করা সেই অধ্যক্ষ বরিশালে থানায় শিক্ষার্থীদের হামলা-ভাঙচুর - dainik shiksha বরিশালে থানায় শিক্ষার্থীদের হামলা-ভাঙচুর হাজিরা মেশিন কাজে আসেনি ১৬৯ বিদ্যালয়ে, গচ্চা ৩৭ লাখ টাকা - dainik shiksha হাজিরা মেশিন কাজে আসেনি ১৬৯ বিদ্যালয়ে, গচ্চা ৩৭ লাখ টাকা পদ্মার ভাঙনে বিলীনের শঙ্কায় দুই স্কুল - dainik shiksha পদ্মার ভাঙনে বিলীনের শঙ্কায় দুই স্কুল কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024950504302979