শিক্ষকের বিচারের দাবিতে ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রলীগ

ঢাবি প্রতিনিধি |

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. তানজীমউদ্দিন খানের বিচারের দাবিতে ছাত্রলীগের প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তারা সেখানে অবস্থান নেন।

এসময় তারা স্লোগান দিচ্ছিলেন 'আমার ভাই মরবে কেন? প্রশাসন জবাব চাই'।

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খানের বিরুদ্ধে শ্রেণীকক্ষে এক শিক্ষার্থীকে 'অপমান' করার অভিযোগ ওঠে। ওই শিক্ষার্থী এসএম এহসান উল্লাহ ওরফে ধ্রুব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপ-সম্পাদক। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তাকে বঙ্গবন্ধু হলের পুকুর পাড় থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন বলেন, 'আমরা বিভাগের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ট্যুরে গিয়েছিলাম। এহসান ধ্রুব গত পরশু আমার রুমে আসে এবং তার এক সহপাঠীকে নিয়ে কটু কথা বলে। আমি তাকে সাধারণভাবে সতর্ক করে দিই। পরে জানতে পারি এহসান যাকে নিয়ে মিথ্যা কথা ছড়াচ্ছে তাকে সে পছন্দ করতো। তাকে নাকি প্রেমের প্রস্তাবও দিয়েছে। কিন্তু, রাজি না হওয়ায় এহসান ক্ষুব্ধ ছিল। আমি তাকে বুঝিয়েছি, বিকেলে ফুচকা খাইয়েছি। তার বাবার সঙ্গেও কথা হয়েছে আমার। এখন রাতে ফেসবুকের একটি পোস্টে আত্মহত্যার কথা উল্লেখ করেছে।'

নিজের ফেসবুকে এহসান পোস্ট করেছেন, 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সালাম জানবেন। আমার খুব ইচ্ছা ছিল আমার সাথে দেখা করার। আপনার একটা ছবি তোলার। পূরণ হলো না। জীবনের সব ইচ্ছা পূরণ হয় না। কি আর করা। কিন্তু আপনার কাছে আমি আমার সাথে হওয়া অন্যায়ের বিচার দিয়ে গেলাম।'

তিনি আরও লিখেছেন, 'প্রিয় তানজিম স্যার, আপনার উপরে আমার আর কোনো রাগ নেই। ভালো থাকবেন।'

ওই ছাত্রলীগ নেতা ফেসবুক পোস্টে লেখেন, 'বাবা মা, ক্ষমা করে দিও। ভেবেছিলাম দোকান ঘুরে ঘুরে দুই একটা করে কিনবো। এক দোকানেই দুইপাতা বিক্রি করলো। সন্দেহ হচ্ছে ঔষধে ভেজাল আছে। যদি ভেজাল না থেকে থাকে তাহলে এন্ড অব দ্যা জার্নি।'


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর - dainik shiksha শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি - dainik shiksha মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী - dainik shiksha আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই - dainik shiksha প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে - dainik shiksha জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ - dainik shiksha বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য - dainik shiksha এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা - dainik shiksha অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর - dainik shiksha ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন - dainik shiksha বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী - dainik shiksha একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025548934936523