পিরোজপুর মঠবাড়িয়ায় আ. ওহাবিয়া আলিম মাদরাসায় মো. আবদুল হালিম নামে এক ব্যক্তি দুই পদে চাকরি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মাদরাসার অভ্যন্তরে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মো. আবদুল হালিম ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দের থেকে আ. ওহাবিয়া মাদরাসায় মাওলানা পদে যোগদান করে চাকরি করে আসছেন। এ ছাড়াও তিনি একই মাদরাসায় ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে ২৮ ডিসেম্বর থেকে প্রভাষক হিসাবেও চাকরি করছেন।
সংশ্লিষ্ট মাদরাসার নাম প্রকাশ না শর্তে একাধিক শিক্ষক বলেন, মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. বেলায়েত হোসেন ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. হেমায়েত উদ্দিন যোগসাজশ করে আবদুল হালিমের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে পুরাতন নিয়োগ দেখিয়ে তাকে প্রভাষক পদে অনৈতিকভাবে নিয়োগ দিয়েছেন। এক প্রতিষ্ঠানে থেকে মাওলানা ও প্রভাষক দুই পদের সুবিধা ও বেতন ভাতা নিয়েছেন।
তারা আরো বলেন, মাদরাসার সুপার আমাদের কাছ থেকেও বিভিন্ন অযুহাতে লক্ষ-লক্ষ টাকা নিয়েছেন। তারা বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা এমপিও নীতিমালার ১৩ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ প্রাপ্তির জন্য শিক্ষক-কর্মচারীরা একই সঙ্গে একাধিক স্থানে চাকরিতে বা আর্থিক লাভজনক কোনো পদে নিয়োজিত থাকতে পারেন না।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবদুল হালিম বলেন, প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও পরিচালনা কমিটির সভাপতির স্বাক্ষরিত প্রভাষক পদে নিয়োগপত্র পেয়ে চাকরি করে আসছি। একই মাদরাসায় শিক্ষক ও প্রভাষকের পদে কেমন করে চাকরি করেন এমন প্রশ্নেরে জবাবে তিনি বলেন, অনেকেই তার মতো একাধিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। আমি করলে দোষের কী?
মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. বেলায়েত হোসেন টাকা লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং এক ব্যাক্তি দুই পদে চাকরির বিষয়টি অকপটে স্বীকার বলেন, তিনি তো বেতন নেননি।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর মো. হেমায়েত উদ্দিন বলেন, এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. অলি আহাদ বলেন, এক ব্যাক্তি একই প্রতিষ্ঠানে দুটি পদে চাকরি করার কোনো সুযোগ নেই।
মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর (বরিশাল বিভাগ) পরিদর্শক ইমন আমির বলেন, একই ব্যক্তির দুই চাকরি করার বিধান নেই। কোনো শিক্ষক এটা করে থাকলে তা চাকরিবিধি পরিপন্থী। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শিক্ষার সব খবর সবারআগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষা ডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।