শিক্ষকের ১০ লাখ টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হলো চাঁদাবাজ

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি |

শিক্ষকের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করে হজম করতে পারলো না ভূমিদস্যু চাঁদাবাজ। স্থানীয় এমপি দিদারুল আলমের হস্তক্ষেপে চাঁদাবাজির ১০ লাখ টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হলো ভূমিদস্যু।  

দৈনিক শিক্ষার অনুসন্ধানে জানা যায়, ভাটিয়ারী অক্সিজেন রোড এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নরেশ চন্দ্র পালের ৬ শতক জায়গায় কিছুদিন আগে হঠাৎ সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয় ওই এলাকার ভূমিদস্যু মো. মহিউদ্দিন। বিভিন্ন সমস্যা ও ভুয়া ওয়ারিশ সনদ দিয়ে জায়গাটি বিক্রি করতে ১০ লাখ টাকা দাবি করে ভূমিদস্যুরা। এক পর্যায়ে হয়রানি থেকে বাঁচতে মহিউদ্দিনের ১০ লাখ টাকা চাঁদার চেক দেন নরেশ পাল। এদিকে ১০ লাখ টাকা নিয়েও ক্ষান্ত হয়নি মহিউদ্দিন। সে আরও টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। 

ভুক্তভোগী নরেশ পাল বুধবার স্থানীয় এমপি আলহাজ দিদারুল আলমের কাছে গিয়ে বিচার প্রার্থনা করেন। এমপি এলাকায় খোঁজ নিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার মহিউদ্দিনকে ডেকে পাঠান। এমপি তাকে সাফ জানিয়ে দেন যদি চাঁদাবাজির টাকা ফেরত দেওয়া না হয় তাহলে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। এ সময় এমপি তাকে আকবরশাহ থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন এবং কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। ফলে বাধ্য হয়ে মহিউদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং একটি প্রভাবশালী ভূমিদস্যু চক্রের ইন্ধনে সে এসব করেছে বলে জানায়। এ ছাড়া সে টাকা ফেরত দিতেও রাজি হয়। বৃহস্পতিবার আকবরশাহ থানার মধ্যস্থতায় দুই পক্ষের মধ্যে বৈঠক হলে মহিউদ্দিন ১০ লাখ টাকা ফেরত দিয়ে মুচলেকা দেয়। পরে এমপি দিদারুল আলমের অনুমতি নিয়ে পুলিশ তাকে মুক্তি দেয়। 

শিক্ষক নরেশ চন্দ্র পাল বলেন, 'আমার জমিটি দখল করে ফেলেছিল মহিউদ্দিন। শুধু তাই নয়, ভুয়া ওয়ারিশ সাজিয়ে জায়গাটি নামজারির আবেদনও করে। এভাবে সে আমাকে হয়রানি করতে থাকলে এক পর্যায়ে আমি সমস্যা সমাধানে তাকে ১০ লাখ টাকা দিতে বাধ্য হই। আমি নামজারি বাতিলের আবেদন করেও হয়রানির শিকার হই। 

এমপি দিদারুল আলম বলেন, নিরীহ স্কুল শিক্ষক নরেশ পালকে জিম্মি করে ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করেছিল ভূমিদস্যু গ্রুপের অন্যতম সদস্য মহিউদ্দিন। এটি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক কাজ বলে মনে করেছি আমি। তাই তাকে আটক করে পুলিশে দিয়ে টাকা উদ্ধার করে দিয়েছি। এ ধরনের কোনো কাজ ভবিষ্যতেও প্রশ্রয় দেবেন না বলে জানান তিনি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কাল থেকে শিক্ষা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় - dainik shiksha কাল থেকে শিক্ষা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির - dainik shiksha বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ - dainik shiksha ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ - dainik shiksha সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ - dainik shiksha নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, আশা প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, আশা প্রধান বিচারপতির দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028901100158691