পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনের সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর বিরুদ্ধে ওঠা শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। মঠবাড়িয়া উপজেলার ডা. রুস্তম আলী ফরাজী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তিনি। নিবন্ধিত শিক্ষক প্রার্থীরা কলেজটির সভাপতি রুস্তম আলী ফরাজী ও অধ্যক্ষ মো. শাহ আলম মারুফের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ করেন দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। দুদকের অনুরোধে শিক্ষা অধিদপ্তর ইতোমধ্যে অভিযোগটি তদন্ত শুরু করেছে বলে দৈনিক শিক্ষাকে জানিয়েছে সূত্র।
জানা গেছে, ১ থেকে ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় প্রভাষক পদে নিবন্ধিত প্রার্থীরা গত ২৩ নভেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনে একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা হয়, কলেজটির গভর্নিং বডির সভাপতি ডা. রুস্তম আলী ফরাজী ও অধ্যক্ষ মো. শাহ আলম মারুফ স্বেচ্ছাচারী ভাবে কলেজ পরিচালনা করছেন। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি করছেন তারা। নিয়োগে স্বজনপ্রীতির অভিযোগও তাদের বিরুদ্ধে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটি তদন্তে কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক ও কলেজ শাখার সহকারী পরিচালককে অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অভিযোগটি সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠাতে দুই কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে অধিদপ্তর।
উল্লেখ্য, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে চতুর্থ বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ডা. রুস্তম আলী ফরাজী। এর আগে, ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী হিসেবে ও ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে বিএনপি’র প্রার্থী হয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বরে ফের জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন ডা. রুস্তম আলী ফরাজী।