শিক্ষক নিয়োগে জালিয়াতির অভিযোগ

রাজশাহী প্রতিনিধি |

রাজশাহীর উপশহর মহিলা কলেজে শিক্ষক নিয়োগে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের পুরোনো শিক্ষিকাকে বাদ দেয়া হয়েছে। তার স্থলে একজন নতুন শিক্ষিকাকে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নে কলেজটির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী শিক্ষিকা নাসরিন সুলতানা। 

লিখিত বক্তব্যে নাসরিন সুলতানা দাবি করেন, কলেজ কমিটির দেয়া যোগদানের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে যোগদান করেন ২০০০ খ্রিষ্টাব্দের ৮ এপ্রিল। এরপর ২০০০ খ্রিষ্টাব্দের ৯ এপ্রিল একই বিভাগে যোগদান করেন অপর শিক্ষিকা শাফিয়াজ আখতার বানু।

১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর এমপিওভুক্ত হলে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে দুইজনের পরিবর্তে একজন শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। এক্ষেত্রে যিনি আগে নিয়োগপ্রাপ্ত তাকেই রাখা হবে। এমন অবস্থায় পরে যোগদান করা শাফিয়াজ বানুর পক্ষেই রহস্যজনক কারণে কলেজ অবস্থান নেয় কর্তৃপক্ষ।  তার যোগদানে তারিখ ৯ এপ্রিলের পরিবর্তে কারচুপির আশ্রয় নিয়ে ৫ ডিসেম্বর ১৯৯৯ দেখায় কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে নাসরিন সুলতানা ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে নিম্ন আদালতে একটি মামলা করেন।

আদালত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য চেয়ারম্যানকে সভাপতি করে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেয়। শিক্ষাবোর্ডের পর্যবেক্ষণ মোতাবেক উপশহর মহিলা কলেজের ১৪ জন প্রভাষকের নামোল্লেখ থাকলেও ১৩ জন প্রভাষকের নিয়োগ ও যোগদানপত্র রয়েছে। ওই ১৩ জনের মধ্যে নাসরিন সুলতানার নিয়োগ ও যোগদানপত্র রয়েছে। তবে শাফিরাজ আখতার বানুর যোগদানপত্র রক্ষিত নথিতে পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার মহাপরিচালককে অবহিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এই কমিটি। এই নিষ্পত্তি সভার কার্যবিবরণীতে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ৭ ডিসেম্বর সই করেন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ও কমিটির সভাপতি প্রফেসর মো. হবিবুর রহমান এবং কলেজ পরিদর্শক ও সদস্য সচিব জিয়াউল হক। অথচ এখনও তাকে কলেজে গিয়ে ক্লাস নিতে দেওয়া হচ্ছে না। নানান ভয় দেখানো হচ্ছে।   

রাজশাহীর উপশহর মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তাদের কাছে থাকা কাগজপত্রে কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রথম শিক্ষিকা শাফিয়াজ আখতার বানু। যদিও বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা করেছেন অপর শিক্ষিকা নাসরিন সুলতানা। আদালত রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডকে তদন্তে জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। আর শিক্ষাবোর্ডের তদন্তে নাসরিন সুলতানাকে প্রথম শিক্ষিকা হিসেবে দেখানো হয়েছে।

এ বিষয়টি নিয়ে সব সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত রায় দেবেন। আর রায় অনুসারেই তারা কাজ করবেন। এর আগে তাদের হাতে করার কিছুই নেই বলে জানান অধ্যক্ষ।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন সভাপতির একক স্বাক্ষরে - dainik shiksha অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন সভাপতির একক স্বাক্ষরে দুই শব্দে অধ্যক্ষের পদত্যাগ! - dainik shiksha দুই শব্দে অধ্যক্ষের পদত্যাগ! বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে পাকিস্তান - dainik shiksha বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে পাকিস্তান বিএনপি নির্বাচিত হলে গুম প্রতিরোধে আইন করব: তারেক - dainik shiksha বিএনপি নির্বাচিত হলে গুম প্রতিরোধে আইন করব: তারেক ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ইসহাক আলীর মৃত্যু শ্বাসরোধে: মেঘালয় পুলিশ - dainik shiksha ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ইসহাক আলীর মৃত্যু শ্বাসরোধে: মেঘালয় পুলিশ ঢাবিতে যোগ দিলেন চাকরিচ্যুত অধ্যাপক ড. সাইফুল - dainik shiksha ঢাবিতে যোগ দিলেন চাকরিচ্যুত অধ্যাপক ড. সাইফুল কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0035841464996338