শিক্ষক নিয়োগ : নির্ধারিত সময়ে প্রশ্নপত্র না আসায় পরীক্ষা দিতে পারলেন না ৩ শতাধিক পরীক্ষার্থী

লালমনিরহাট প্রতিনিধি |

লালমনিরহাটে সঠিক সময়ে মেঘনা সেটের প্রশ্নপত্র না পাওয়ায় জেলার কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রায় তিন শতাধিক পরীক্ষার্থী প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দিতে পারেননি। পরীক্ষা দিতে না পেরে তারা কেন্দ্রে বিক্ষোভ করেন।

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় জেলায় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে আদর্শ ডিগ্রি কলেজ, লালমনিরহাট সরকারি কলেজ ও সাপ্টিবাড়ি ডিগ্রি কলেজে এ ঘটনা ঘটে।   

কেন্দ্র ও পরীক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, এবার লালমনিরহাট থেকে ১৫ হাজার ৬০০ জন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও সুরমা এই চার সেটে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। জেলার তিনটি কেন্দ্রে পদ্মা, যমুনা ও সুরমা সেটের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারলেও যারা মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থী তারা পরীক্ষা দিতে পারেননি। কারণ ওই তিনটি পরীক্ষা কেন্দ্রে মেঘনা সেটের প্রশ্নপত্র নির্ধারিত সময়ে আসেনি। পরীক্ষা শেষ হওয়ার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর কেন্দ্রগুলোতে মেঘনা সেটের প্রশ্নপত্র আসে। এ সময় মেঘনা প্রশ্নপত্র ফটোকপি করে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়।

দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীদের পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু পরীক্ষার নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ায় মেঘনা সেটের অনেক পরীক্ষার্থী কেন্দ্র ছেড়ে চলে যান। পরীক্ষা দিতে না পেরে অনেকে বিক্ষোভ করেন।

জামসুর রহমান নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘দীর্ঘদিন প্রতীক্ষার পর মনে অনেক আনন্দ নিয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলাম। কিন্তু বেলা ১১টায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর জানতে পারি আমাদের মেঘনা সেটের প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে আসেনি। তাই কেন্দ্র প্রধান মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেন। পরীক্ষা দিতে না পেরে অনেকে বিক্ষোভ করেন।’ 

বিক্ষোভ প্রদর্শন সময়ে কেন্দ্রে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা পরীক্ষায় ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয় সেজন্য সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

সাদিকা নামের এক পরীক্ষার্থী বলেন, আমি সুরমা সেটের প্রশ্নপত্র পাই। ৪৪ পর্যন্ত দাগার পর দেখি আবার একই প্রশ্ন। বিষয়টি স্যারদের বলেও কোনো সমাধান পাইনি। এ সময় আমি কান্নায় ভেঙে পড়ি। তিনি সুরমা সেটে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানান।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর বলেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে মেঘনা সেটের প্রশ্নপত্র না আসায় ওই সেটের পরীক্ষার্থীরা সঠিক সময়ে পরীক্ষা দিতে পারেননি। তবে নির্ধারিত সময়ের কিছুটা পরে মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীদের পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0021579265594482