শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতি : প্রথম ধাপে গ্রেফতার ১২৪

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতির অভিযোগ ১২৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে রংপুর বিভাগে ৯৬ জন, বরিশাল বিভাগে ২৮ জন রয়েছেন। তবে সিলেট বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কেউ গ্রেফতার হননি।

শুক্রবার রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ধাপের পরীক্ষার দিন রাতে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। সারাদিনে তিন বিভাগের মোট ১৩৪ জন প্রার্থীকে আটকের খবর মিলেছিলো।

জানা গেছে, তিন বিভাগের পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে তাদারকির দায়িত্বে ছিলো প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পলিসি এবং অপারেশন বিভাগ। রাত পৌনে দশটার দিকে দৈনিক শিক্ষাডটকমের পক্ষ থেকে করা এ প্রশ্নের জবাবে এ বিভাগের পরিচালক মনীষ চাকমা বলেন, মোট ১২৪ জন প্রার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত খবর এসেছে। তাদের মধ্যে রংপুর বিভাগে ৯৬ জন, বরিশাল বিভাগ ২৮ জন রয়েছেন। সিলেট বিভাগে কেউ গ্রেফতার হননি। ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের মধ্যেমে পরীক্ষা জালিয়াতির অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মামলা হয়েছে। 

এর আগে রাত নয়টা পর্যন্ত মোট ১৩৪ জন প্রার্থীকে আটকের তথ্য এসেছিলো দৈনিক শিক্ষাডটকমের কাছে। রংপুর বিভাগে ১০৬ জন ও বরিশাল বিভাগের ২৮ জন আটক হয়েছিলেন। 

শতাধিক প্রার্থীকে গ্রেফতারের বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে মনীষ চাকমা বলেন, জালিয়াতরা ধরা পড়েছে। কেউ ছাড় পাননি। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই স্থানীয় প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা খুব তৎপর ছিলেন। গত রাত থেকেই জালিয়াতরা গ্রেফতার হওয়া শুরু করেছেন। কেউ জালিয়াতি করে পাড় পাননি। পরীক্ষা খুব সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। দ্বিতীয়বারের মতো একটি স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলো। 

ঘণ্টা পড়ার পর প্রশ্নের প্যাকেট খোলা, লটারি মাধ্যমে পরিদর্শক নির্বাচনসহ নানা সতর্কতার পরও কেনো এমনটি হলো জানতে চাইলে পলিসি ও অপারেশন বিভাগের পরিচালক দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, আসলে জেলা-জেলায় পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে যারা পরিদর্শকের দায়িত্বে ছিলেন তারা লোভে পড়েছিলেন। তাদের কেউ কেউ হয়তো প্রশ্ন বাইরে পাঠানোর চেষ্টা করেছিলেন বা পাঠাবেন বলে জালিয়াতদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তাই এমনটা হয়েছে। তবে জালিয়াতি করে কেউ পরীক্ষা দিতে পারেননি। যারা জড়িত ছিলেন তারা পাকড়াও হয়েছেন। 

জানা গেছে, এ পরীক্ষায় কক্ষ পরিদর্শকে দায়িত্বে ছিলেন জাতি গড়ার কারিগর শিক্ষকরা। সরকারি কলেজ, পিটিআই, সরকারি মাধ্যমিক স্কুল, সরকারি কারিগরি কলেজ বা মাদরাসা, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
দেরিতে এসে স্বপ্নভঙ্গ গুচ্ছে ভর্তিচ্ছু অনেকের - dainik shiksha দেরিতে এসে স্বপ্নভঙ্গ গুচ্ছে ভর্তিচ্ছু অনেকের নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ ৭ দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের মানববন্ধন - dainik shiksha নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ ৭ দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের মানববন্ধন কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে জগদীশ চন্দ্র বসুর নামে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সম্মতি প্রধানমন্ত্রীর - dainik shiksha জগদীশ চন্দ্র বসুর নামে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সম্মতি প্রধানমন্ত্রীর প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিতের অভিযোগে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি গ্রেফতার - dainik shiksha প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিতের অভিযোগে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি গ্রেফতার শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ নিজের শিক্ষককে নিয়ে শ্রেণিকক্ষে ঢাবি শিক্ষক, প্রশংসায় ভাসছে ফেসবুক - dainik shiksha নিজের শিক্ষককে নিয়ে শ্রেণিকক্ষে ঢাবি শিক্ষক, প্রশংসায় ভাসছে ফেসবুক please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0023589134216309