সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নির্যাতন, আইন বহির্ভূতভাবে অপসারণ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস)।
শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সংগঠনটির চট্টগ্রাম বিভাগীয়, জেলা ও মহানগর কমিটি এ আয়োজন করে।
এতে উপাধ্যক্ষ বশির উদ্দিন কনকের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক তড়িৎ কুমার ভট্টাচার্য।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রফেসর রঞ্জিত দে, অধ্যক্ষ আবুল মনসুর মোহাম্মদ, অধ্যাপক উত্তম চৌধুরী, অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলম, অধ্যাপক শ্রীমান ঘোষ, অধ্যক্ষ শিমুল বড়ুয়া, অধ্যাপক শরিফ মোরশেদ, অধ্যাপক মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, উপাধ্যক্ষ দেবপ্রিয় বড়ুয়া অয়ন, অধ্যক্ষ জনার্ধন বণিক, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে একটি সুযোগ সন্ধানী ও বিপথগামী মহল দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সম্মানিত প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ শিক্ষকদের নির্যাতন, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও আইনবহির্ভূতভাবে অপসারণ করছে। নারী শিক্ষকদেরও নানাভাবে হেনস্তার শিকার করা হচ্ছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে এক ধরনের নৈরাজ্য। বক্তারা আরো বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী বিপ্লবের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতার অপব্যবহার করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এ অন্যায় কাজে ব্যবহার করছে।
সমাবেশে বক্তারা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সবদেশেই বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগদানের যেমন সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে, তেমনি কাউকে তার পদ থেকে অপসারণেরও সুনির্দিষ্ট বিধান বা নিয়ম রয়েছে।
তারা সরকারি বেসরকারি চাকরিতে জনবল নিয়োগ বা পদচ্যুতির ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট বিধান প্রয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য এবং বলপ্রয়োগে পদত্যাগে বাধ্য করা ও শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তা করার বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য এবং জোরপূর্বক নেয়া পদত্যাগপত্র বাতিলের আদেশসহ এ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারির করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সুস্পষ্ট প্রজ্ঞাপন দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।