দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: ২ লাখ ৭৭ হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষাঋণ মওকুফের ঘোষণা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। মওকুফ করা এই ঋণের পরিমাণ ৭.৪ বিলিয়ন ডলার। শুক্রবার বাইডেনের পক্ষ থেকে এই ঋণ মওকুফের ঘোষণা দেওয়া হয়। যদিও বিরোধী রিপাবলিকান শিবির কট্টরভাবে বিষয়টির বিরোধিতা করে আসছে।
বাইডেন প্রশাসন বলছে, এই মওকুফের ঘোষণার ফলে ঋণের বোঝা ঝেড়ে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ স্বপ্নের পিছু ছুটতে পারবে। তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার পথ মসৃণ হবে।
গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেড় লাখ শিক্ষার্থীর ঋণ মওকুফের ঘোষণা দেন। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ স্বপ্নের পেছনে ছুটতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। মওকুফ ঘোষিত ওই ঋণের পরিমাণ ছিল ১.২ বিলিয়ন ডলার।
বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, আগামী নভেম্বরের নির্বাচন সামনে রেখে প্রগতিশীল ও তরুণ ভোটার আকৃষ্ট করতে বাইডেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কলেজ ডিগ্রির জন্য দেশটির অনেক শিক্ষার্থী বিশাল অঙ্কের ঋণের বোঝা বইছেন। নির্বাচনী প্রচারের জন্য তহবিল সংগ্রহের সময় সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ায় যান জো বাইডেন। সেখানে বিষয়টির উল্লেখ করে তিনি বলেন, উন্নত জীবনের টিকিট হলো একটি কলেজ ডিগ্রি। তবে এই টিকিট অতিরিক্ত দামি বা ব্যয়বহুল বলেও স্বীকার করেন বাইডেন।
ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা বাইডেনের এমন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকানরা। তারা ব্যাপকভাবে শিক্ষার্থী ঋণ মওকুফের বিপক্ষে সোচ্চার।
রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসার পর ৪০০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ মওকুফ করার পরিকল্পনা করেন বাইডেন। তবে এতে বাধ সাধে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। ফলে কিছুটা পিছু হঠতে বাধ্য হন বাইডেন। ঋণ মওকুফের জন্য কয়েক দফায় নতুন পরিকল্পনা নিতে বাধ্য হয় বাইডেন প্রশাসন।
গত ফেব্রুয়ারিতে সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেড় লাখ শিক্ষার্থীর ১.২ বিলিয়ন ডলার ঋণ মওকুফের ঘোষণা দেন বাইডেন। তিনি জানান, যে শিক্ষার্থী ১২ হাজার ডলার বা তার কম শিক্ষাঋণ নিয়েছিলেন এবং ১০ বছর ধরে কিস্তি দিয়ে আসছেন– ওই এ পরিকল্পনার আওতায় তাদের বাকি ঋণ মওকুফ হবে।
সবশেষ শুক্রবার আরও ২ লাখ ৭৭ হাজার শিক্ষার্থীর ৭.৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ মওকুফের ঘোষণা দিল বাইডেন প্রশাসন। সাড়ে তিন বছরে সব মিলিয়ে ৪৩ লাখের বেশি মার্কিন শিক্ষার্থীর ১৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের শিক্ষাঋণ মওকুফ করা হলো।